বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির এবারের নির্বাচন নিয়ে কম জল ঘোলা হলো না। সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে জায়েদ খান ও নিপুণ আক্তারের লড়াই আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত সকল কিছুর অবসান হলো।
বর্তমানে শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব নিপুণ পালন করবেন।
রবিবার (২৭ নভেম্বর) রাতে এফডিসির চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির অফিসে শপথবাক্য পাঠ করান সমিতির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন।
নিপুণের দায়িত্ব পালনের বিষয়টি শুরুতে জায়েদ খানের প্যানেলের বিজয়ীরা মেনে নিতে না পারলেও শেষ পর্যন্ত সেই অভিমানের অবসান হলো।
আরও পড়ুন: চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি: নিপুণ-জায়েদের বিষয়ে শুনানি ২২ ফেব্রুয়ারি
রবিবার এফডিসিতে শিল্পী সমিতির কার্যালয়ে শপথ গ্রহণ করেন চিত্রনায়িকা মৌসুমী।
তিনি কার্যনির্বাহী সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন।
শপথ গ্রহণ শেষে মৌসুমী গণমাধ্যমে বলেন, ‘খুব ভালো লাগছে সবাইকে একসঙ্গে পেয়ে। আমাদের সবকিছুর অবসান হলো। এত কিছুর পর আমরা আবার এক হয়ে গেলাম।’
ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘অনেক ভালো লাগছে সবাইকে একসঙ্গে পেলাম। আমি এটাই চেয়েছিলাম। আমি একটা দায়িত্ব নিলে সেটা সঠিকভাবে পালন না করা পর্যন্ত শান্তি পাই না। দীর্ঘ ৯ মাস আমি একটা যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে গিয়েছি। সেই যন্ত্রণা রবিবার লাঘব হলো। সমিতির সকল সদস্যরা এসেছেন। সবাই কথা দিয়েছেন আমরা শিল্পীদের স্বার্থে কাজ করব।’
সকল দ্বন্দ্ব ভুলে সমিতিতে আসা প্রসঙ্গে ডিপজল গণমাধ্যমে বলেন, ‘শিল্পীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব কখনোই চাই না। সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে দ্বন্দ্বটি যেহেতু আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। শুরু থেকেই আমরা বলেছি, আদালত যে রায় দেবেন আমরা মেনে নেব। আদালতের তরফ থেকে জানা গেছে, নিপুণের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালনে বাধা নেই। তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি, মিটিংয়ে অংশ নিয়ে সমিতির কার্যক্রমের সঙ্গে থাকব।’
শিল্পী সমিতিতে রবিবার আরও আসেন একই প্যানেল থেকে সহসভাপতি পদে নির্বাচিত ডিপজল ও রুবেল।
এছাড়াও সেখানে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচিত কমিটির রিয়াজ, সাইমন, ইমন, জয় চৌধুরী, অঞ্জনা, কেয়া, জাদু আজাদ, আরমান, জেসমিন, নাদির খান, শাহনূরসহ অনেকেই।
আরও পড়ুন: চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন: চেম্বার কোর্টের আদেশ কঠোরভাবে অনুসরণের নির্দেশ