সাবেক স্ত্রী অ্যাম্বার হার্ডের বিরুদ্ধে করা মানহানির মামলায় জয় পেলেন মার্কিন অভিনেতা জনি ডেপ। অ্যাম্বার হার্ডকে ১০ মিলিয়ন ডলার জরিমানার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার ভার্জিনিয়ার একটি আদালতের জুরি সদস্যরা জানিয়েছেন, সাবেক স্বামী জনি ডেপের বিরুদ্ধে যে সহিংসতার অভিযোগ এনেছিলেন অ্যাম্বার হার্ড, তা ‘মিথ্যা ও অবমাননাকর’। এ কারণে অ্যাম্বারকে ১০ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। জনির বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ আনার পেছনে অ্যাম্বারের ‘অসৎ উদ্দেশ্য’ ছিল বলেও জানিয়েছেন আদালত।
তবে ডেপের বিরুদ্ধে আনা কিছু অভিযোগের রায় হার্ডের পক্ষে গেছে।
জুরিরা প্রমাণ পেয়েছেন, ডেপের আইনজীবীও হার্ডের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও অবমাননাকর বিবৃতি দিয়েছেন। এজন্য হার্ডকে ২ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
রায়ের পর হার্ড তার টুইটার অ্যাকাউন্টে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে বলেছেন, অন্য নারীদের ওপর এই রায় কি প্রভাব ফেলবে, তা নিয়ে আমি আরও বেশি হতাশ।
আরও পড়ুন: স্টার সিনেপ্লেক্সে ‘টপ গান’-এর দ্বিতীয় কিস্তি
এদিকে বুধবার আদালতে অনুপস্থিত থাকলেও গণমাধ্যমকে ৫৮ বছর বয়সি জনি ডেপ জানান,‘জুরি আমাকে আমার জীবন ফিরিয়ে দিয়েছে। আমি সত্যিই কৃতজ্ঞ।’
‘পাইরেটস অব দ্য ক্যারিবিয়ান’-খ্যাত অভিনেতা জনি ডেপ ও অ্যাম্বার হার্ড ২০১৫ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলেও ২০১৬ সালে জনি ডেপের বিরুদ্ধে শারীরিক ও যৌন হেনস্তার অভিযোগ এনে আদালতে ডিভোর্সের আবেদন করেন ‘অ্যাকোয়াম্যান’-খ্যাত অ্যাম্বার হার্ড।
স্ত্রীর সেই অভিযোগ অস্বীকার করলেও ৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করে বিচ্ছেদের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন তিনি।
সেই সময়ে আদালতের কাছে দুইজন প্রতিজ্ঞা করেছিলেন, ভবিষ্যতে তাদের দাম্পত্য জীবন নিয়ে জনসম্মুখে আর কোনো ধরনের আলোচনা করবেন না তারা।
তবে ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন পোস্টের কাছে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে জনি ডেপের বিরুদ্ধে আবারও শারীরিক ও যৌন নির্যাতনের অভিযোগ করেন তার সাবেক স্ত্রী অ্যাম্বার হার্ড।
হার্ডের অভিযোগ অস্বীকার করেন ডেপ। পত্রিকায় নিজের নামে মিথ্য অভিযোগ আনায় ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে ডেপ ফেয়ারফ্যাক্স কাউন্টি সার্কিট কোর্টে সাবেক স্ত্রী হার্ডের বিরুদ্ধে ৫০ মিলিয়ন ডলারের মানহানির জন্য মামলা করেছিলেন ডেপ।
পরে হার্ডও উল্টো ১০০ মিলিয়ন ডলার মানহানির মামলা করেন জনির বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন: কান উৎসব ২০২২: উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জেলেনস্কির ভাষণ
ঈদে ঢাকার প্রেক্ষাগৃহে 'ডক্টর স্ট্রেঞ্জ ইন দ্য মাল্টিভার্স অব ম্যাডনেস'