সরকারি এক নথিতে বলা হয়েছে, পরিকল্পনার আওতায় দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে সৌরচালিত বেস স্টেশন থাকবে এবং নেটওয়ার্কের আওতা বাড়ানোর মাধ্যমে আধুনিক টেলিযোগযোগ সুবিধাও বাড়ানো হবে।
এতে বলা হয়েছে, ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক স্থাপনের কার্যক্রম শুরু করার পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি ফোর-জি নেটওয়ার্কের আওতা এবং পরিষেবা ইউনিয়ন পর্যায়েও বিস্তৃত করা হবে।
নথিততে আরও বলা হয়েছে, মধ্যমেয়াদি ওই পরিকল্পনার আওতায় ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হবে।
এনইআইআর ব্যবস্থাটি সব মোবাইল ডিভাইসের (আইএমইআই) সেন্ট্রালাইজড ডাটাবেস রেজিস্ট্রির মতো হবে, যেখানে মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটরের (এমএনও) ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার ব্যবহার করে দেশের সব মোবাইল গ্যাজেট সম্পর্কিত তথ্য রাখা হবে।
এনইআইআর থাকার সুবিধা হলো- এটি এর সাথে যুক্ত সব এমএনও’র নেটওয়ার্ক জুড়ে থাকা প্রতিটি নেটওয়ার্ক অপারেটর প্রদত্ত যেকোনো মোবাইল হ্যান্ডসেটটের পরিচালনা সীমাবদ্ধ বা প্রতিরোধ করতে সক্ষম।
সরকারি নথি অনুসারে, স্পেকট্রাম পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থার আধুনিকায়ন ও সম্প্রসারণের বিষয়ে অগ্রাধিকার দেয়া হবে।
ভিশন-২০২১ অনুযায়ী দেশ ২০২১ সালের মধ্যে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’-এ পরিণত হবে বলেও ওই নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
তথ্য ও যোগাযোগ বিভাগ হাইটেক পার্ক নির্মাণ, আইসিটির মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলা, ডিজিটাল সাক্ষরতা কেন্দ্রসহ আইসিটি খাতের উন্নয়নে জাতীয় বিভিন্ন প্রকল্প ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন করার পাশাপাশি প্রণোদনা প্যাকেজও ঘোষণা করেছে। ডিজিটাল রূপান্তরের পর সবার সার্বজনীন ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য তথ্য ও যোগাযোগ বিভাগ এগুলো বাস্তবায়ন করছে।
দক্ষ ও কার্যকরভাবে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’-এর লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য সরকার ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রকল্পের ই-গভর্নমেন্ট মাস্টার প্ল্যান প্রণয়ন’ শীর্ষক একটি পরিকল্পনাও হাতে নিয়েছে। এটি পুরোপুরি বাস্তবায়ন হয়ে গেলে সরকারি বিভিন্ন কার্যক্রম, পরিষেবা এবং পরিচালনা আরও সহজ হওয়ার পাশাপাশি, তথ্য সরবরাহ এবং পরিষেবা আরও কার্যকর হবে।
এছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে আরও ২০টি হাই-টেক পার্ক নির্মাণের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
টেলিযোগাযোগের সুবিধা জোরদার করা এবং টেলি-পরিষেবা বাড়ানোর মাধ্যমে নাগরিকদের পরিষেবাগুলোর ক্ষেত্র সম্প্রসারণের পদক্ষেপ নিয়েছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ।
নথি অনুসারে, মোবাইল বা ই-ব্যাংকিং এবং হাইস্পিড ইন্টারনেটের মাধ্যমে নাগরিক সেবা প্রদানের পাশাপাশি অবকাঠামোগত এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার বিকাশের জন্য বিভিন্ন প্রকল্প এবং কর্মসূচি বাস্তবায়নের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলগুলোও ইতোমধ্যে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটের মাধ্যমে তাদের সংবাদ ও অনুষ্ঠান সম্প্রচার শুরু করেছে।
ব্যান্ডউইথ সক্ষমতা বাড়াতে বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি লিমিটেড সি-মি-উই ৪ এবং সি-মি-উই ৫ নামক দুটি আন্তর্জাতিক সাবমেরিন কেবল কনসোর্টিয়ামে যোগ দিয়েছে যা ২০২৩ সালের মধ্যে চালু হবে।