স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর থেকে কর্মক্ষেত্রে আসছেন না ডা. রোবেদ আমিন।
গত ১৮ আগস্ট ঢাকা মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ড. আমিনকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। কিন্তু মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর প্রাঙ্গণে কর্মকর্তাদের বিক্ষোভের মুখে তিনি এই পদে বসতে পারেননি।
ড. আমিনের বিরুদ্ধে বিএনপির প্রতি পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলেন বিক্ষোভকারীরা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, তিনি অনেকবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে গিয়েছেন কর্মক্ষেত্রে যোগদানের জন্য। তবে তাকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।
গত ১২ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্যকর্মীদের দাবির মুখে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় অধ্যাপক রোবেদ আমিনকে। তাই অসুস্থতাজনিত কারণ দেখিয়ে তিনি ছুটি নিয়েছেন।
এ ব্যাপারে রোবেদ আমিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ইউএনবিকে বলেন, ‘আমি মন্ত্রণালয়ে যাই। তবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে যেতে পারিনি।’
তাকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি কি না—এই প্রশ্নের উত্তর তিনি খোলাসা না করে বলেন, ‘আমি আমার জবটাই করি। আমার সঙ্গে সরাসরি কারো সঙ্গে এমন কোনো কথা হয়নি।’
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের পদত্যাগের দাবিতে বিএনপিপন্থী চিকিৎসক-কর্মচারীদের বিক্ষোভ
অতিরিক্ত মহাপরিচালক হিসেবে নাজমূল হাসান দায়িত্ব পালন করছেন বলে তিনি জানান।
ড. আমিন বরেন, ‘আমি অসুস্থতাজনিত কারণে অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটি নিয়েছি। ওনাকে যেদিন দায়িত্ব দেওয়া হয়, আমি সেদিনই ছুটির দরখাস্ত দিই। এখনো আমাকে কোনো পদ দেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়নি।'
বর্তমান অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাজমুল হোসেনের সঙ্গে মুঠোফোন একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
গত ১২ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্যকর্মীদের দাবির মুখে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় অধ্যাপক রোবেদ আমিনকে। পাশাপাশি স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল হোসেনকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
ওইদিন (বৃহস্পতিবার) স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের এক অফিস আদেশে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল হোসেনকে তার নিজ দায়িত্বের অতিরিক্ত হিসেবে পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের দায়িত্ব দেওয়া হলো।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ আওয়ামীপন্থী কর্মকর্তাদের অপসারণ দাবি