ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা অংশে ঈদযাত্রায় যানজটে যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়তে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। মহাসড়কের পাশে বাজার বসায় এবং প্রায়ই সংস্থার কাজ চলায় এই আশঙ্কা করছেন চালক ও যাত্রীরা।
এছাড়া মহাসড়কে অবাধে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে তিন চাকার যানবাহন। ব্যস্ততম এই মহাসড়কে নিষিদ্ধ এসব যানবাহন চলাচলের কারণে বেড়েছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি। এছাড়া নিষিদ্ধ এসব যানবাহনের কারণে এবারের ঈদযাত্রায় যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়তে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এদিকে,বর্তমানে মহাসড়কের অন্তত ছয়টি স্থানে বাজার বসায় এবং সংস্থার কাজ চলার কারণে প্রায়ই যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। যানজটের কারণে বিভিন্ন যানবাহনের যাত্রীরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা পথে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
মহাসড়কের কুমিল্লার চান্দিনা ও দাউদকান্দি অংশে যানজটের কারণে অনেক সময় এক ঘণ্টার পথ অতিক্রম করতে সময় লাগে চার থেকে ছয় ঘণ্টা।
তবে হাইওয়ে পুলিশ বলছে, ঈদযাত্রায় যান চলাচল নির্বিঘ্ন রাখতে সকল প্রকার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। এছাড়া যে কোন পরিস্থিতি মোকাবিলায় নিয়োজিত থাকবে হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত সদস্যরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দাউদকান্দি উপজেলার টোলপ্লাজা এলাকা, গৌরিপুর, ইলিয়টগঞ্জ, চান্দিনার মাধাইয়া, চান্দিনা বাসস্ট্যান্ড ও বুড়িচং উপজেলার নিমসার এ ছয়টি স্থানে প্রায়ই যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়া আদর্শ সদর উপজেলার ময়নামতি সেনানিবাস এলাকা, কুমিল্লা সদর দক্ষিণের পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড, চৌদ্দগ্রামের মিয়াবাজার ও চৌদ্দগ্রাম বাজারেও যানজট হয়। এসব এলাকায় মহাসড়কের ওপর বাজার বসার কারণে গাড়ি নিয়ে পথ চলতে বেগ পেতে হচ্ছে চালকদের।
আরও পড়ুন: শিগগিরই কমবে যানজট: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী