বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সালাম বরকত হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক আলী আজম তালুকদার আবাসিক হলে ছাগল পালন করছেন। আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে তিনি কিছু ছাগল কিনে এনেছেন। এসব ছাগল হলের ভেতরে হল কর্মচারীদের দিয়ে লালন-পালন করছেন।
অধ্যাপক আজম প্রভোস্ট হওয়ার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে জোর করে হল কর্মচারীদের দিয়ে ছাগল পালন করাচ্ছেন বলে কর্মচারীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে।
ছাগল পালনের কারণে হলের ভেতরের পরিবেশ নোংরা হয়ে তীব্র দুর্গন্ধ তৈরি হয়েছে। এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করায় হল প্রভোস্টের পদত্যাগ দাবি করেছেন হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা। তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষমতার অপব্যবহার করে আবাসিক হলে ছাগল পালন করায় প্রভোস্টের তীব্র সমালোচনা করেছেন।
এর আগেও এ অধ্যাপকের বিতর্কিত নানা কর্মকাণ্ড নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলেও তার বিরুদ্ধে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নেয়নি প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বলছেন, বার বার বিতর্কিত কাজ করলেও ব্যবস্থা না নেয়ায় দিনে দিনে তিনি স্বেচ্ছাচারী হয়ে উঠছেন। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে গঠিত বিভিন্ন কমিটিতে স্থান দিয়ে পুরস্কৃত করা হচ্ছে।
হলের অভ্যন্তরে ছাগল রাখার বিষয়ে বিরক্তি প্রকাশ করেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন প্রহরী। তিনি বলেন, ‘ছাগলগুলো প্রভোস্ট স্যারের। হলের প্রহরীরা শিফট-ভিত্তিক যখন দায়িত্ব পালন করেন তখন তারাই প্রভোস্ট স্যারের নির্দেশে নিয়মিত এদের পরিচর্যা করেন। হলে ছাত্র না থাকায় এবং আমাদের কাজকর্মও কম থাকায় আমরা প্রভোস্ট স্যারের পাঁচটি ছাগল দেখভাল করি।’
এদিকে, অধ্যাপক আজমের বিরুদ্ধে লকডাউনের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশমাইল গ্যারেজের ২০-২৫টি গাছ কেটে কম দামে বিক্রি দেখিয়ে কমিশন নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এস্টেট অফিসের মাধ্যমে দাম ঠিক করে তারপর গাছ কাটতে হবে- এমন নিয়ম থাকলেও অধ্যাপক আজম গ্যারেজের কনট্রাকটরের কাছে কম দামে গাছ বিক্রি করে তার কাছ থেকে সুবিধা নিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এসব বিষয়ে কথা বলার জন্য অধ্যাপক আজমকে বেশ কয়েকবার ফোন করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।