স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্থানীয় শ্রমিক দিয়েই এসব প্রকল্পের কাজ চালাতে হচ্ছে। এতে প্রকল্পের কাজ শেষ করতে ঠিকাদারদের ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে।
খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক কেসিসির চলমান উন্নয়নমূলক কাজ গুণগত মান বজায় রেখে দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী ও ঠিকাদারদের নির্দেশ দিয়েছেন। কাজের মানের বিষয়ে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না বলে সিটি মেয়র উল্লেখ করেন।
তিনি মঙ্গলবার দুপুরে কেসিসির প্রকৌশলী ও ঠিকাদারদের সাথে আয়োজিত সভায় সভাপতির বক্তৃতাকালে এ কথা বলেন। করোনার কারণে বন্ধ থাকা উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ পুনরায় শুরু করার লক্ষ্যে কেসিসির পূর্ত বিভাগ এ সভার আয়োজন করে।
কতিপয় শর্ত সাপেক্ষে সিটি করপোরেশন এলাকায় বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পের কাজ সম্পাদনের জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগ হতে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। শর্তগুলো হচ্ছে শারীরিক ও সামাজিক দূরত্ব রক্ষা করা, নির্মাণসমাগ্রী সরবরাহকারী ট্রাকের সামনে ব্যানার স্থাপন, শ্রমিকদের প্রয়োজন অনুযায়ী সুরক্ষা সামাগ্রী সরবরাহ ও প্রকল্প এলাকায় সাবান পানি দিয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রাখা এবং বহিরাগত শ্রমিকদের পরিবর্তে স্থানীয় শ্রমিকদের নিয়োগ দান ইত্যাদি।
প্রকল্পের প্রধান প্রকৌশলী মো. এজাজ মোর্শেদ চৌধুরী বলেন, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় স্বাস্থ্য বিধিমালা মেনে চলামান উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ শুরু করার অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এসব প্রকল্পের কাজ করতে ঠিকাদার বাইরে থেকে কোনো শ্রমিক আনতে পারবেন না। স্থানীয় শ্রমিক দিয়ে কাজ করাতে হবে। তবে যেসব প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়েছে তাদের সময় বাড়ানোর জন্য আবেদন করতে বলা হয়েছে।
সোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ঠিকাদার ফার্মের মালিক মো. তাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘করোনাভাইরাসের কারণে কেসিসি ২৫ মার্চ খালিশপুর কেসিসি পৌর সুপার মার্কেট নির্মাণসহ সব উন্নয়ন কাজ বন্ধ করে দেয়। পরে কেসিসির নির্দেশনা মোতাবেক গত ৭ মে থেকে মার্কেট নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়েছে। তবে তা স্বল্প পরিসরে স্থানীয় কম শ্রমিক নিয়ে স্বাস্থ্য বিধিমালা মেনেই করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে মার্কেট ভবনের ফাউন্ডেশন ফুটিং কাজ চলছে। দু-এক দিনের মধ্যে ঢালাই দেয়া হবে। তবে করোনার কারণে ভারত থেকে পাথর আনতে পারছি না। এ জন্য খরচ বেশি পড়ে যাচ্ছে।’
প্রকল্পের মেয়াদ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। সময় বাড়ানোর জন্য শিগগিরই আবেদন করা হবে বলে তিনি জানান।
বাংলাদেশ মিউনিসিপল ডেভেলপমেন্ট ফান্ডের (বিএমডিএফ) কনসালাটেন্ট ইঞ্জিনিয়ার অনিবেশ রায় মঙ্গলবার বিকালে খালিশপুর পৌর সুপার মার্কেটের নির্মাণাধীন কাজ তদারকিতে যান।
এ সময় তিনি বলেন, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় কাজ আবার শুরু হয়েছে। কাজের মান নিশ্চিত করতে তারা সজাগ দৃষ্টি রেখেছেন বলে জানান।
কেসিসির নির্বাহী প্রকৌশলী-২ মো. লিয়াকত আলী খান জানান, গত ১০ মে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মতে ঠিকাদাররদের কাজ পুনরায় শুরু করতে চিঠি দেয়া হয়েছে। সে মতে, কোনো কোনো ঠিকাদার ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছেন।
করোনাভাইরাসের প্রভাবে কেসিসির সব উন্নয়নমূলক নির্মাণ কাজ প্রথম পর্যায়ে ১০ দিনের জন্য সাময়িকভাবে বন্ধ করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল। বলা হয়েছিল ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত কাজ বন্ধ থাকবে। পরে দফায় দফায় আবারও সরকারি ছুটি ঘোষণার সাথে সাথে কেসিসিও কাজ বন্ধের ঘোষণা দেয়।