চলতি মৌসুমে উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় ১০০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে মোট ৬০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ করা হয়, যা গতবারের চেয়ে ২০ হেক্টর বেশি। গত মৌসুমে এই উপজেলায় সরিষা চাষ করা হয়েছিল ৪০ হেক্টর জমিতে।
সরেজমিনে ঘুরে কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, কৃষকরা তাদের অধিকাংশ জমিতে উচ্চফলনশীল (উফশী) বারি-১৪, বারি-৯, সরিষা-১৫ ও স্থানীয় টরি-৭ আবাদ করেছেন। ফলন ভালো হলে এবং দাম পেলে আগামী বছর সরিষা চাষে আরও অনেকেই ঝুঁকে পড়বে। সরিষার জমিতে ধানের আবাদও ভালো হয় এবং বোরো চাষে খরচ কম হয়।
এ ব্যাপারে চান্দিনার উপ-সহকারী কর্মকর্তা মো. মাজেদুল ইসলাম জানান, চান্দিনা উপজেলার জমিগুলো সরিষা চাষের জন্য খুবই উপযোগী। এবছর কয়েকটি শৈত্যপ্রবাহে অন্যান্য ফসলের কিছু ক্ষয়ক্ষতি হলেও সরিষার তেমন ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
এবছর অনুকূল আবহাওয়া থাকায় সরিষা গাছ বেড়ে উঠেছে দ্রুত। কৃষকের চোখেমুখে ফুটে উঠেছে আনন্দের হাসি। যেন সরিষার হলুদ হাসিতে স্বপ্ন দেখছে কৃষক।
উপজেলার ডুমুরিয়া গ্রামের সরিষা চাষী নজরুল ইসলাম জানান, এ বছর ৯০ শতাংশ জমিতে দেশি লাল জাতের সরিষার আবাদ করেছি। সরিষার গাছ ভালো হয়েছে। আশা করছি বাম্পার ফলন হবে। গত বছর বাজারে সরিষার দাম ভালো পাওয়ায় এবারও সরিষা চাষ করেছি।
চান্দিনা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোছা. আফরিনা আক্তার জানান, চান্দিনার ফসলি জমিগুলোতে সরিষার উৎপাদন ভালো হয়। বর্তমানে উদ্ভাবিত উচ্চফলনশীল (উফশী) বারি-১৪ জাতের সরিষা মাত্র ৭৫ থেকে ৮০দিনের মধ্যেই ঘরে তোলা যায়। এরপর বোরো আবাদে কোনো সমস্যা হয় না। ফলে সরিষা চাষে এবছর কৃষকদের আগ্রহ গতবছরের চেয়ে বেড়েছে।
আগামীতে আরও বেশি পরিমাণ জমিতে সরিষার চাষ সম্ভব হবে বলে আশা করছেন তিনি।