এর ফলে শহরের ফুটপাতের দোকান ছাড়াও জেলার ১০টি উপজেলার হাট বাজারগুলোতে শীতের পোশাক আমদানি ও বেচাকেনা জমজমাট হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের কাপড়-চোপড় কেনার চাহিদাই সবচেয়ে বেশি। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলছে তাদের বেচাকেনা। ক্রেতার ভিড় বাড়ায় খুশি বিক্রেতারাও।
আগাম শীত ও বেচাকেনা ভালো থাকায় রাঙ্গামাটির অনেক ছোট ব্যবসায়ীরা দোকানে শীতের কাপড় ওঠাতে শুরু করেছেন। বেচাকেনায় জমে উঠেছে পুরাতন কাপড়ের হাটেও।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রাঙ্গামাটি জেলার কলেজ গেট, বনরূপা, রিজার্ভ বাজার, তবলছড়িসহ বিভিন্ন স্থানে বসেছে পুরোনো শীত কাপড়ের দোকান। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের গরম কাপড় বিক্রি হচ্ছে। ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে আমদানি করে এখানে কাপড় বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। যেখানে নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষের ভীড় চোখে পড়ার মতো।
রিজার্ভ বাজারের ফুটপাতের মৌসুমী শীত কাপড় ব্যবসায়ী মো. রফিক বলেন, ‘শীতের তীব্রতা বাড়ায় চট্টগ্রাম থেকে আমরা পুরোনো শীত কাপড় কিনে এনেছি। একটি গাইটে ৩৫০ থেকে ৪০০টি কাপড় থাকে। যার দাম পড়ে ৮ থেকে ৯ হাজার টাকা। তবে কাপড়ের ধরনের ওপর গাইটের দাম নির্ভর করে। এ বছর বেচাকেনা মোটামুটি ভালোই হচ্ছে।’
ক্রেতা জেসমিন আক্তার, সোনালী চাকমা ও সোনামনি চামমা বলেন, ‘পুরোনো শীত কাপড়ের দোকানগুলোতে সাধ্যের ভেতর ভালো মানের কাপড় পাওয়া যায়। নতুন কাপড়ের দোকানে দাম একটু বেশি। কিন্তু পুরোনো কাপড়ের দোকানে কম মূল্যে তা পাওয়া যায়। তবে এবার দাম একটু বেশি মনে হচ্ছে।’
একজন ক্রেতা বলেন, ‘এইসব পুরোনো কাপড়ের মধ্যে ভাগ্যের জোরে অনেক সময় নতুন কাপড়ের মতো গরম কাপড় পাওয়া যায়।’