শুঁটকির মৌসুম শুরু হওয়ায় উপকূলীয় এলাকার ১০ হাজার জেলে শুঁটকি পল্লী খ্যাত দুবলার চরে জড়ো হবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রতি বছর কয়েক হাজার জেলে ও এর সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা মাছ ধরতে ও শুঁটকি তৈরি করতে এই অঞ্চলে ভিড় জমান।
বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এ বছর জেলেদের আবাসন ও শুঁটকি সংরক্ষণের জন্য ১০৮টি অস্থায়ী ঘর ও ৭৮টি ডিপো নির্মাণের অনুমতি দিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
জেলেরা সুন্দরবনে ১ হাজার ৫০০টি ট্রলার ব্যবহার করে মাছ ধরবেন। তারা মাছগুলো প্রক্রিয়াজাত করবেন এবং শুকানোর জন্য সূর্যের নিচে রাখবেন।
কর্তৃপক্ষ জেলেদের মাছ ধরার অনুমতি দেওয়ার পর দুবলার চর ইতোমধ্যেই শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের ভিড়ে মুখরিত হয়ে উঠেছে।
গত বছর দুবলার চর থেকে সরকার ৬ কোটি টাকা রাজস্ব আয় করেছে এবং এ বছর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরায় ৮৮ জেলে আটক
দুবলার চরে লইট্যা, ফাইস্যা, কোরাল, রূপচাঁদা, বিভিন্ন প্রকার চিংড়ি, ছুরি, থুড়ে, কাইন, বাইন, লাক্ষ্যা, কঙ্কন, টুনা, স্যামনসহ অর্ধশতাধিক প্রজাতির মাছ প্রক্রিয়াজাত করা হচ্ছে। রাসায়নিক দ্রব্য ও ফরমালিন ব্যবহার না করে প্রক্রিয়াজাত হওয়ায় এই এলাকার শুঁটকির চাহিদা বেশি।
রামপাল উপজেলার জেলে রবিউল ইসলাম জানান, শুক্রবার তিনি দুবলার চরে এসে বাঁশ, পলিথিন ও হোগলা দিয়ে অস্থায়ী বাড়ি তৈরিতে ব্যস্ত সময় কাটান।
মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি শহীদ মল্লিক বলেন, ইতোমধ্যে হাজার হাজার জেলে ওই এলাকায় পৌঁছেছেন এবং অনেকেই মাছ ধরতে সাগরে গেছেন।
আলোরকোল পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দিলীপ মজুমদার বলেন, জেলেরা অস্থায়ী ঘর নির্মাণে ব্যস্ত, যা শেষ হতে ২-৩ দিন সময় লাগে।
তিনি বলেন, কিছু জেলে খোলা আকাশের নীচে তাদের ধরা মাছ প্রক্রিয়াকরণে ব্যস্ত ছিলেন।
সুন্দরবন পূর্ব জোনের সহকারী বন সংরক্ষক রানা দেব জানান, ৩ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া শুঁটকির মৌসুম চলবে আগামী বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত।
জেলেরা ৫ মাস ধরে আলোরকোল, মাঝেরকেল্লা, নারিকেলবাড়িয়া ও শেলার চরে অবস্থান করবেন।
শরণখোলা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক শেখ মাহবুব হাসান বলেন, দুবলার চরে জেলেদের ছদ্মবেশে কেউ যাতে অপরাধ করতে না পারে সেজন্য বন বিভাগকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরায় ৫০ জেলে আটক