মুখরোচক খাবার হিসেবে হালিমের জুড়ি নেই। সারাদিন রোজা রাখার পর মুখে রুচি বাড়াতে খুলনায় ইফতারে অন্যান্য খাবারের সঙ্গে অনেকেই রাখেন বিখ্যাত নানা হালিম।
বর্তমানে বাহারি ইফতার আইটেমের ভিড়ে জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে এই নানা হালিম।
নানার হালিমের মালিকের নাম মো. হজরত আলী (৭৯)। নানা নামের আড়ালে তার নিজের নাম প্রায় হারিয়েই গেছে।
খুলনা মহানগরীর সাউথ সেন্ট্রাল রোডে সরকারি পাইওনিয়ার মহিলা কলেজের সামনে নানা হালিমের একমাত্র বিক্রয়কেন্দ্র। বিক্রি হয় শুধু রমজান মাসেই। দূরদূরান্ত থেকে ভোজন রসিকরা আসেন এখানে। রোজার সময় দুপুরের পরই শুরু হয় ভিড়।
আরও পড়ুন: চুইঝালের হালিম বদলে দিয়েছে খুলনার রাশেদের জীবন
রান্নার কলাকৌশল ও বৈচিত্র্যময় নামের কারণে খুলনায় নানা হালিম এখন বেশ প্রসিদ্ধ বলে জানান ক্রেতারা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, রমজানের প্রথম দিন শুক্রবার (২৪ মার্চ) জুম্মার পর থেকেই সরগরম হয়ে উঠেছে ফুটপাতের ওপরে শামিয়ানা টাঙানো ‘নানা স্পেশাল হালিম’ এর দোকান। বিখ্যাত এই হালিম খুলনার মানুষের ইফতারির অন্যতম অনুষঙ্গ। কেউ কেউ নানা হালিম নিতে বাড়ি থেকে পাত্র নিয়ে এসেছেন। আবার কেউ কেউ ওই দোকানের মাটির পাত্রে হালিম নিয়ে যাচ্ছেন।
মালিক মো. হজরত আলীসহ দোকানের ১১ জন কর্মচারী ডেকচি থেকে মাটির পাত্রে ভরে ক্রেতার চাহিদামত হালিম তুলে দিচ্ছেন।
রফিকুল হাসান নামের এক ক্রেতা বলেন, নানা হালিম খুলনায় খুবই বিখ্যাত। প্রতি বছরই রমজানে এখান থেকে হালিম কিনি। তাই এ বছরও কিনতে এলাম।
আবু সাঈদ নামের এক ব্যক্তি বলেন, বিখ্যাত নানা হালিমের সুনাম আজ শহরময়। প্রতিবছরই রমজানে এখান থেকে হালিম কিনি। নগরীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভোজন রসিকরা এসে এখান থেকে হালিম কিনে নিয়ে যান।
নানা হালিমের মালিক হজরত আলী বলেন, ১৯৯১ সাল থেকে প্রতি রমজানে এই হালিম বিক্রি করে আসছি। নিজের হাতেই রান্না করি। রমজানের প্রথম দিন ১১৫ কেজি হালিম রান্না করেছি। যার দাম ১৫০ টাকা, ৩০০ টাকা, ৫০০ টাকা ও ৮০০ টাকা।
এছাড়া সব দ্রব্যের দাম বাড়লেলেও নানা হালিমের দাম বাড়ানো হয়নি। আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, প্রথম রমজান শুক্রবার হওয়ায় জুম্মার নামাজের পরই ক্রেতাদের ভিড় শুরু হয়ে গেছে। যা চলবে মাগরিব পর্যন্ত।