জেলা সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, মৃত এসব ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার পর পাঁচজনের শরীরে করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে। বাকিদের ফল ছিল নেগেটিভ।
১ এপ্রিল থেকে ৩১ মে পর্যন্ত এসব মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
সিভিল সার্জন অফিস জানায়, ১ জুন পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে ৩ হাজার ১৪২ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে ফল পাওয়া গেছে ২ হাজার ৮৬৬টি। এখনও ২৭৬টি নমুনার ফল পাওয়া যায়নি।
জেলায় দুই পুলিশ সদস্য, চিকিৎসক ও নার্সসহ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২৪২ জন। আক্রান্তদের মধ্যে সদর উপজেলায় ১১০ জন, রামগঞ্জে ৪৮, রায়পুর ৪৪, কমলনগর ২১ ও রামগতির ১৯ জন রয়েছে।
জেলায় জ্বর, সর্দি এবং শ্বাসকষ্ট নিয়ে মারা যাওয়াদের মধ্যে কমলনগরে ১০, সদরে ১২, রামগতিতে ৭, রায়পুরে ৫ ও রামগঞ্জের ৬ জন রয়েছে।
১২ এপ্রিল প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার পর ১৩ এপ্রিল জেলা প্রশাসক অঞ্জন চন্দ্র পাল এক গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে লক্ষীপুর জেলা লকডাউন ঘোষণা করেন। প্রথমদিকে লকডাউন কিছুটা মানা হলেও পরে তা মানা হচ্ছিল না। প্রতিটি হাট-বাজারে ছিল উপচে পড়া ভিড়।
এদিকে সাধারণ ছুটি শেষে অফিস আদালত, ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান খুলেছে ও চলছে গণপরিবহন। এর মধ্যে নতুন করে আবারও বাড়তে শুরু করেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। সরকারের পক্ষ থেকে সামাজিক সুরক্ষা মেনে ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান ও গণপরিবহন চলাচলের নির্দেশ থাকলেও বেশিরভাগ মানুষই তা মানছেনা। ফলে করোনার ঝুঁকি বাড়ছে কয়েকগুণ।
সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. জয়নাল আবেদিন বলেন, প্রতিটি ক্ষেত্রে যদি সামাজিক সুরক্ষা মেনে চলে, তাহলে কিছুটা হলেও করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ করা সম্ভব। সামাজিক সুরক্ষা না মানলে কোনোভাবে করোনার প্রার্দুভাব থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব নয়। তাই সবাইকে সামাজিক সুরক্ষা মেনে চলার পরামর্শ দেন তিনি।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. আবদুল গফ্ফার জানান, ২ জুন পর্যন্ত জেলায় ২৪২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। ৯০ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। আতঙ্কিত না হয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে করোনাভাইরাসে থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। তাই সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অনুরোধ করেন সিভিল সার্জন।