স্থানীয়দের দাবি, ধীরে ধীরে সরকারি এই কবরস্থানটি বেদখল হয়ে যাচ্ছে। বেওয়ারিশ লাশের কবরস্থানটি পূর্ব কোটাপাড়ার ডোম ঘরের পাশে এবং নদীর তীরবর্তী হওয়ায় প্রভাবশালী বালু ব্যবসায়ীরা এটি ব্যবহার করছেন। তারা বালুর বলগেট নদীর তীরে রেখে বালু আনলোড করেন। এছাড়া বালুভর্তি বলগেট নদীর তীরে রাখার কারণে বলগেটের ধাক্কায় কবরস্থানের জায়গাটি একট একটু করে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে।
স্থানীয়রা জানায়, জায়গাটি বেওয়ারিশ লাশের কবরস্থান। এখানে পূর্ব কোটা পাড়ায় বসবাসরত আলমগীর ছৈয়াল রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে সরকারি কবরস্থান দখল করে রমরমা বালুর ব্যবসা করে আসছে।
এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে বালু ব্যবসায়ী আলমগীর ছৈয়াল বলেন, জায়গাটি সরকারি পরিত্যক্ত ডোম ঘরের। এটা কোনো কবরস্থান না। এখানে বালু রেখে বিক্রি করি।
অথচ বালু রাখার কারণে কিছু দিন আগে একটি বেওয়ারিশ লাশ নিয়ে এলাকায় একটি দুঃখজনক ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে প্রত্যক্ষদর্শী মজিবুর রহমান বলেন, গত কয়েক দিন আগে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের ডোম ঘর থেকে আনা একটি বেওয়ারিশ লাশ ভ্যানগাড়ি দিয়ে পূর্ব কোটা পাড়া ডোমঘরের কবরস্থানে দাফন করার জন্য নেয়া হয়। কিন্তু লাশের গাড়িটি বালু রাখার কারণে কবরস্থানের কাছে নেয়া সম্ভব হয়নি। পরে ভ্যানগাড়ি চালক গাড়ি থেকে লাশ নামিয়ে লাশের পায়ে রশি লাগিয়ে কুকুরের মত টেনে কবরস্থানে নিয়ে দাফন করে। এ ঘটনার পর এলাকার ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মধ্যে উত্তেজনা ও ক্ষোভ বিরাজ করছে।
এ বিষয়ে শরীয়তপুর সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মাহাবুবুর রহমান শেখ বলেন, সাবেক ডোমঘরের পাশে বেওয়ারিশ লাশ দাফনের সরকারি কবরস্থান দখল করে কে বা করা বালুর ব্যবসা করে আসছে এর সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না। তবে যারা এ কবরস্থান দখল করে বালু রেখে ব্যবসা করছে, তারা যত প্রভাবশালী হোকনা কেন তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।