জানা গেছে, জীবনের শেষ সময়ের অনেকটা সময় কাটিয়েছেন অন্যের বাড়িতে কাজ করে। শরীরের শক্তি কমে আসায় এখন আর কাজ করতে পারেন না। তাই একটা সময় রাস্তার পাশে বা ওভার ব্রিজের নিচে তার স্থান হয় একটা সময় অসুস্থ হয়ে পড়লে সহায়ের কর্মীরা তাকে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে।
আরও পড়ুন: ‘রোগ’ নেই, তবু হাসপাতালই ঠিকানা বৃদ্ধা পারভীনের!
যান্ত্রিক সভ্যতা ও নিজেদের ব্যস্ততার কারণে অনেকেই ভুলতে বসেছে তাদের স্বজনদের। অনেকেই অস্বীকার করছে তাদের নিকট আত্মীয়দের।
হাফেজা খাতুন জানান, স্বামী আবদুর রশীদের সাথে তার সুখের সংসার ছিল। বেলাল নামে তাদের এক ছেলে সন্তান ছিল। হাফেজা খাতুনের দিনমজুর স্বামী মারা গেছে একযুগ আগে। তার একমাত্র সন্তান বেলালও মারা গেছে অনেক আগে। ছেলের মৃত্যুর পর পাগলপ্রায় তিনি। বাড়ির ঠিকানা না বলতে পারলেও বিক্ষিপ্তভাবে তিনি বলছেন তিন ভাই ও পাঁচ বোনের মধ্যে হাফেজা খাতুন সবার ছোট। এখন তিনি স্বজনদের কাছে যেতে চান।
আরও পড়ুন: স্বজনদের অপেক্ষায় হাসপাতালে বৃদ্ধার অপেক্ষা!
সহায়ের সাধারণ সম্পাদক মো. দুলাল তালুকদার বলেন, ‘হাসপাতালে থাকার ব্যবস্থা হলেও খাবার ও ওষুধপত্র আমরা সহায়তা করি। হাসপাতালের বারান্দা, করিডোরই এখন তার বাড়ি।’
আরও পড়ুন: নাটোরের বড়াইগ্রামে আগুনে পুড়ে বৃদ্ধার মৃত্যু
সমাজের উচ্চ শ্রেণির লোকজনের একটু ভালোবাসায় ও সহযোগিতায় সন্তান-পরিবারহীন অসহায় অসুস্থ হাফেজা খাতুনের জীবনের শেষ দিনগুলো হতে পারে একটু আরামদায়ক।
আরও পড়ুন: মোহনগঞ্জে গরুকে বাঁচাতে গিয়ে ট্রেনে কাটা পড়ে বৃদ্ধার মৃত্যু