আল জাজিরার সাংবাদিক শিরিন আবু আকলার মৃত্যুর ঘটনায় শোকাহত বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।
ফিলিস্তিনি-আমেরিকান এই সাংবাদিকের মৃত্যুর ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্তেরও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। বিবিসির খবরে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বুধবার অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান কভার করার সময় ৫১ বছর বয়সী আবু আকলা নিহত হন। এ সময় তার এক প্রযোজক আহত হয়েছেন।
আল জাজিরার দাবি, ইসরায়েলি সেনারা তাকে ‘ইচ্ছাকৃতভাবে’ গুলি করেছে। তবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সম্ভবত ফিলিস্তিনি বন্দুকধারীরা তাকে গুলি করেছে।
আরও পড়ুন: ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আলজাজিরার সাংবাদিককে গুলি করে হত্যার অভিযোগ
এ ঘটনায় ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে একটি যৌথ ময়নাতদন্ত ও তদন্তের আহ্বান জানান। তবে বৃহস্পতিবার ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের বেসামরিক বিষয়কমন্ত্রী হুসেইন আল-শেখ জানিয়েছেন, সে অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে।
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বলেছেন, তিনি ইসরায়েলি সরকারকে এ ‘গুরুতর অপরাধের’ জন্য সম্পূর্ণরূপে দায়ী করেছেন।
বুধবার তার মুখপাত্রের মাধ্যমে জারি করা এক বিবৃতিতে গুতেরেস ‘সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এ ঘটনার নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ তদন্ত এবং দায়ীদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘সাংবাদিকদের ওপর সব হামলা ও তাদের হত্যার নিন্দা জানিয়েছেন মহাসচিব এবং সাংবাদিকরা কখনই যেন সহিংসতার লক্ষ্যবস্তু না হয় তার ওপর জোর দিয়েছেন তিনি।’
এদিকে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জেন সাকি টুইটারে লিখেছেন, আমেরিকানরা আবু আকলার হত্যাকাণ্ড এবং তার প্রযোজকের আহত হওয়ার খবরে ‘মর্মাহত’।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কায় সহিংসতাকারীদের দেখামাত্র গুলির নির্দেশ
সাকি বলেন, ‘আমরা তার পরিবার ও বন্ধুদের প্রতি গভীর সমবেদনা এবং তার হত্যার তীব্র নিন্দা জানাই। তাকে ‘প্রতিবেদনের কিংবদন্তি’ বলেও অভিহিত করেছেন তিনি।
আবু আকলা ব্যাপক পরিচিত এবং দর্শক ও সহকর্মীদের কাছেও তিনি অনেক প্রশংসিত।
এ ঘটনায় আলী সামুদি নামে আরেক ফিলিস্তিনি সাংবাদিক ও আল জাজিরার প্রযোজক গুলিবিদ্ধ হন এবং তার অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
সামুদিকে উদ্ধৃত করে আল জাজিরা জানিয়েছেন, গুলির ঘটনার সময় সেখানে ‘কোনো ফিলিস্তিনি সামরিক প্রতিরোধ’ ছিল না।