পশ্চিম ইন্দোনেশিয়ায় উত্তাল সাগরে ৭৪ জন মানুষ বহনকারী একটি স্পিডবোট ডুবে কমপক্ষে ১১ জন নিহত এবং একজন নিখোঁজ হয়েছেন। শুক্রবার দেশটির কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন।
এরআগে, বৃহস্পতিবার বিকালে রিয়াউ প্রদেশের ইন্দ্রগিরি হিলির রিজেন্সির টেম্বিলহান শহর ছেড়ে যাওয়ার প্রায় তিন ঘণ্টা পর নৌকাটি ডুবে যায়।
পেকানবারু সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ এজেন্সির প্রধান নিওমান সিদাকার্য বলেন, নিহতদের মধ্যে অনেকেই নারী ও শিশু।
তিনি বলেন, ৬২ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে, যাদের মধ্যে কয়েকজন অজ্ঞান অবস্থায় ছিল। উদ্ধারকৃতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং তাদের অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে।
সিদাকার্য বলেছেন, ইভলিন ক্যালিস্টা ০১ নামক স্পিডবোটটি ৬৮ জন যাত্রী বহন করছিল, যাদের বেশিরভাগ লোকেরা তাদের পরিবারের সঙ্গে ঈদুল ফিতরের ছুটি উদযাপন করতে নিজ শহরে ভ্রমণ করে ফিরেছিল। স্পিডবোটে ছয়জন ক্রু ছিল।
স্থানীয় পুলিশ প্রধান নরহায়াত বলেছেন, ডুবে যাওয়ার কারণ এখনও তদন্ত করা হচ্ছে। তবে বেঁচে যাওয়া জীবিত ব্যক্তিরা কর্তৃপক্ষকে বলেছে যে প্রবল বাতাসে নৌকাটি দুলছিল এবং একটি বড় ঢেউয়ের ধাক্কায় স্পিডবোটটি ডুবে যায়।
আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ার সৈকতে আরও ১৮৩ রোহিঙ্গার অবতরণ
নরহায়াত বলেন, দুর্ঘটনার পরে রাতের অন্ধকারে প্রবল ঢেউয়ের মধ্যেও দুটি টাগবোট এবং দুটি বড় নৌকা বেঁচে থাকাদের জন্য অনুসন্ধান চালায়।
তিনি বলেন, একটি টাগবোট ডুবে যাওয়া নৌকাটিকে তীরে টেনে নিয়ে যায়, যাতে অনুসন্ধানের প্রচেষ্টা সহজ হয়।
১৭ হাজারেরও বেশি দ্বীপ নিয়ে গঠিত দ্বীপরাষ্ট্র ইন্দোনেশিয়ায় নৌযান দুঘটনার বিষয়টি খুবই নৈমিত্তিক। প্রায়ই সুরক্ষা বিধি উপেক্ষা করে এখানকার নৌযানগুলো চলাচল করে।
২০১৮ সালে উত্তর সুমাত্রা প্রদেশে একটি গভীর আগ্নেয়গিরির গর্তের হ্রদে প্রায় ২০০ জন লোককে বহনকারী একটি যাত্রীভর্তি ফেরি ডুবে কমপক্ষে ১৬৭জন নিহত হয়।
দেশটির সবচেয়ে খারাপ নথিভুক্ত দুর্যোগগুলোর মধ্যে একটি হয় ১৯৯৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে। ৩৩২ জন যাত্রী নিয়ে একটি জাহাজডুবে ৩১২ জন প্রাণ হারান।
আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিকম্পে নিহত ৭, আহত ৮৫