জাতিসংঘ সমর্থিত ভ্যাকসিন কার্যক্রম কোভ্যাক্স মাত্র এক মাসে ৬১টি দেশে বিভিন্ন ভ্যাকসিনের ৩২ মিলিয়নেরও বেশি ডোজ বিতরণ করেছে বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান জানিয়েছেন।
বছরের শুরুতে, ডব্লিউএইচওর প্রধান টেড্রোস অ্যাধনম গ্যাব্রিয়াসুস দেশগুলোকে এক হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছিলেন, যাতে সব রাষ্ট্র ২০২১ সালের প্রথম ১০০ দিনের মধ্যে টিকা দিতে শুরু করতে পারে,খবর ইউএন নিউজ।
শুক্রবার তিনি তার নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেছেন, ‘১৭৭টি দেশ ও অঞ্চল টিকা কার্যক্রম শুরু করেছে। ১০০ দিন শেষ হওয়ার মাত্র ১৫ দিন বাকি রয়েছে, ৩৬টি দেশ এখনও ভ্যাকসিনের জন্য অপেক্ষা করছে যাতে তারা স্বাস্থ্যকর্মী এবং বয়স্কদের টিকা দেয়া শুরু করতে পারে।’
তাদের মধ্যে ১৫ দিনের মধ্যে ১৬টি দেশ কোভ্যাক্স থেকে টিকার প্রথম ডোজ পাবে।
‘কোভ্যাক্স টিকা বিতরণে প্রস্তুত, কিন্তু আমরা টিকা বিতরণ করতে পারছি না। কারণ আমাদের কাছে নেই,’ বলেন ট্রেড্রোস।
বিশ্বে করোনা পরিস্থিতি
জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় (জেএইচইউ) থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী শনিবার সকাল পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী ১২ কোটি ৬০ লাখ ছাড়িয়েছে। সেই সাথে মৃতের সংখ্যা ২৭ লাখ ৬৬ হাজার ছাড়িয়েছে।
জেএইচইউ এর তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাসে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ২৭ লাখ ৬৬ হাজার ৮২৪ জনে। এছাড়া, ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ কোটি ৬০ লাখ ২৬ হাজার ৬০৩ জনে।
চীনের উহানে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে মহামারি ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত ৩ কোটি ১ লাখ ৫৫ হাজার ৪৬ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ৫ লাখ ৪৮ হাজার ৬৭ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।
আরও পড়ুন: করোনা ঊর্ধ্বগতি অব্যাহত থাকলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি ঈদ পর্যন্ত বাড়তে পারে: মন্ত্রী
টিকা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল আক্রান্ত ও মৃত্যুর দিক দিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগী এক কোটি ২৪ লাখ ৪ হাজার ছাড়িয়েছে এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৭ হাজার ১১২ জনের।
পৃথিবীর দ্বিতীয় জনবহুল দেশ ভারত করোনায় আক্রান্ত দেশের তালিকায় তৃতীয় এবং মৃত্যু নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে।
দেশটিতে মোট আক্রান্ত এক কোটি ১৮ লাখ ৪৬ হাজার ছাড়িয়েছে এবং মারা গেছেন ১ লাখ ৬০ হাজার ৯৪৯ জন।