দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ‘ওমিক্রন’ শনাক্ত হওয়ার মাত্র কয়েক দিনের মধ্যে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। ভাইরাসের নতুন এই ভ্যারিয়েন্ট ঠেকোতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার সর্তকতামূলক ব্যবস্থা নেয়া শুরু করেছে।
শনিবার যুক্তরাজ্যে দু’জনের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে শনাক্ত হওয়ার পর মাস্ক পড়া ও আন্তর্জাতিক যাত্রীদের পিসিআর পরীক্ষার বিষয়ে কঠোর নিয়ম জারি হয়েছে। শনিবার জার্মানি ও ইতালিতেও নতুন এই ভ্যারিয়েন্টর শনাক্ত পাওয়া গেছে। বেলজিয়াম, ইসরাইল এবং হংকংও ভ্রমণকারীদের মধ্যে এই সংক্রমণ পাওয়া গেছে বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত করলো দক্ষিণ আফ্রিকার বিজ্ঞানীরা
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষস্থানীয় সংক্রামক বিশেষজ্ঞ ডা. অ্যান্থনি ফাউসি বলেছেন, যদি ওমিক্রন সংক্রমণ এরই মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও থাকে তবে তিনি অবাক হবেন না।
এনবিসি টেলিভিশনে ফৌসি বলেছেন, ‘আমরা এখনও এটি শনাক্ত করতে পারিনি, কিন্তু যখন আপনার কাছে এমন একটি ভাইরাস যা ক্ষণে ক্ষণে রূপ বদলাচ্ছে, ফলে শেষ পর্যন্ত এটি সব জায়গায় চলে যেতে পারে।’
ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, তার দেশে দুজন ব্যক্তি ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হওয়ার পর সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ‘ওমিক্রন’: বিশ্বজুড়ে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে উদ্বেগ
এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, নতুন এই ভ্যারিন্টের বিস্তার ঠেকাতে এখনই আমাদের কার্যকর পদক্ষে নিতে হবে।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিদেশি যাত্রীরা যুক্তরাজ্যে প্রবেশের পরপরই তাদের পিসিআর পরীক্ষা করতে হবে এবং তাদের করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ না আসা পর্যন্ত আইসোলেশনে থাকতে হবে।