করোনাভাইরাস পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় বেলজিয়াম সরকারের নেয়া কঠোর বিধিনিষেধের প্রতিবাদে রাজধানী ব্রাসেলসে কয়েক হাজার মানুষ বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে।
করোনা মোকাবিলায় সরকারি বিধিনিষেদের প্রতিবাদ জানিয়ে রবিবার ৩৫ হাজারের বেশি বিক্ষোভকারী জড়ো হয় বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসের রাস্তায়। দ্রুত সব বিধিনিষেধ প্রত্যাহারের দাবি জানান তারা। এসময় তাদের সরিয়ে দিতে টিয়ার গ্যাস ও জলকামান ব্যবহার করে পুলিশ। পাল্টা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে বিক্ষোভকারীরা। শুরু হয় সংঘর্ষ।
পুলিশের মুখপাত্র ইলসে ভান্দে কিরে বলেছেন, সংঘর্ষে তিন পুলিশ কর্মকর্তা ও একজন বিক্ষোভকারী আহত হয়েছেন। এছাড়াও,৪২ জন বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়েছিল এবং দু‘জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
দেশটিতে করোনার ঊর্ধ্বগতি কমাতে যারা টিকাগ্রহণ করেনি তাদের রেস্টুরেন্ট, বারসহ নানা জায়গায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। এরপরই থেকেই প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে মানুষ।
আরও পড়ুন: অন্ধ্র প্রদেশে বন্যায় ১৭ জনের মৃত্যু
‘স্বাধীনতা! স্বাধীনতা! স্বাধীনতা!’ এবং ‘বেলা সিয়াও’সহ বিভিন্ন ফ্যাসিবাদ বিরোধী স্লোগান দিতে থাকেন। এমনকি বিক্ষোভকারীরা একটি বিশাল ব্যানার নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদর দপ্তর অভিমুখে মিছিল করে।
বিক্ষোভকারীরা বলেন, আমরা কাজ করতে পারছি না। কোথাও যেতে পারছি না। এটা কোনো স্বাধীন জীবন নয়। আমরা স্বাধীনতা চাই, যা ভালো করে পরীক্ষা করা নেই এমন টিকা আমরা দিতে চাই না।
গত সপ্তাহে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছিল, ইউরোপ এই মুহূর্তে মহামারীর হট স্পট, যেখানে প্রতিদিন করোনায় মৃত্যু বাড়ছে। ইউক্রেন, রাশিয়া, রোমানিয়া, চেক প্রজাতন্ত্র এবং স্লোভাকিয়া সহ অনেক মধ্য ও পূর্ব ইউরোপীয় দেশগুলোর হাসপাতালগুলোতে রোগীর চাপে বিপর্যস্ত।
গত কয়েকদিন ধরে ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশে করোনার কঠোর বিধিনিষেধ বিরোধী বিক্ষোভ হয়েছে। শনিবারও হেগসহ নেদারল্যান্ডের অন্যান্য শহরে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় ডাচ পুলিশ ৩০ জনেরও বেশি লোককে গ্রেপ্তার করেছে।
আরও পড়ুন: প্রাপ্তবয়স্কদের বুস্টার ডোজ দেয়া শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র
ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করে ইতিহাস কমলা হ্যারিসের