সেই সাথে সংস্থাটি সতর্ক করেছে যে এ ভাইরাসের বিস্তার রোধে জারি করা লকডাউন ও বিধিনিষেধের ফলে চলতি বছর ১৩০ কোটির বেশি মানুষ ক্ষুধার্ত অবস্থায় থাকতে পারে।
শুক্রবার নিয়মিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ সতর্ক বার্তা দেন ডব্লিউএইচও মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম।
তিনি বলেন, ‘মহামারি এবং এটি রোধ করার জন্য যে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে তা দীর্ঘস্থায়ী জরুরি পরিস্থিতিতে বিশ্বের প্রায় ২২ কোটি মানুষকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।’
‘বিশ্বের বিভিন্ন দেশ বিশেষ করে আফ্রিকা এবং মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশ এখনও বছরের পর বছর সংঘাত এবং অন্যান্য মানবিক সংকটে বিপর্যস্ত। কোভিড-১৯ এ সংকটগুলোকে আরও অনেক বাড়িয়ে তুলেছে,’ যোগ করেন ডব্লিউএইচও মহাপরিচালক।
তিনি বলেন, প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর থেকে এ মহামারির কারণে চিরাচরিত জীবন ব্যবস্থা, শিক্ষা, ভ্রমণ, কৃষিসহ আরও অনেক বিষয় ব্যাহত হচ্ছে।
টেড্রোস আধানম করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে ভবিষ্যতের যেকোনো সংকট ভালোভাবে মোকাবিলায় স্বাস্থ্য ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘এ মহামারি আমাদের শিখিয়ে দিচ্ছে যে স্বাস্থ্য কোনো বিলাসবহুল জিনিস নয়; এটি সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার ভিত্তি।’