চীনের একাডেমি অব সায়েন্সেস মাইক্রোবায়োলজি ইনস্টিটিউট সোমবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, চীনের সিডিসির প্রধান গাও ফু ভ্যাকসিন তৈরির নেতৃত্ব দিয়েছেন যা জরুরি ব্যবহারের জন্য গত সপ্তাহে অনুমোদন পায়।
এটি জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেয়া এ জাতীয় চতুর্থ টিকা। চীন সাধারণ ব্যবহারের জন্য তিনটি চীনা কোম্পানির তৈরি করা চারটি ভ্যাকসিন অনুমোদন দিয়েছে।
আনহুই ঝিফেই লংকম বায়োফার্মাসটিক্যাল কোং লিমিটেড এবং চীনা বিজ্ঞান একাডেমি যৌথভাবে এই ভ্যাকসিনটি তৈরি করেছে। দলটি গত বছরের অক্টোবরে প্রথম ধাপ এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে ক্লিনিকাল ট্রায়াল শেষ করেছে এবং বর্তমানে উজবেকিস্তান, পাকিস্তান এবং ইন্দোনেশিয়ায় শেষ পর্বের ট্রায়াল পরিচালনা করছে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
গত ১ মার্চ উজবেকিস্তানে ভ্যাকসিনটি ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দেয়া হয়।
কোভিড-১৯ মহামারির থাবায় বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশে প্রাণহানির ঘটনা অব্যাহত রয়েছে। বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়া রোগীর সংখ্যা ১২ কোটি ছাড়িয়ে গেছে। সেই সাথে মৃতের সংখ্যা ২৬ লাখ ৬০ হাজার ছাড়িয়েছে।
মঙ্গলবার জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় (জেএইচইউ) থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাসে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ২৬ লাখ ৬০ হাজার ৭৬ জনে।
এছাড়া, ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ কোটি ১ লাখ ৯১ হাজার ৪১৭ জনে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ করোনার নতুন ঢেউ দেখতে পারে বলে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের
বাংলাদেশকে এক লাখ ডোজ করোনা ভ্যাকসিন দেয়ার প্রস্তাব চীনের
চীনের উহানে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে মহামারি ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত ২ কোটি ৯৪ লাখ ৯৪ হাজার ৩১২ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৬০৯ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।
ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল আক্রান্ত ও মৃত্যুর দিক দিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগী এক কোটি ১৫ লাখ ১৯ হাজার ছাড়িয়েছে এবং মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ৭৯ হাজার ২৮৬ জনের।