কানাডায় উড়োজাহাজ মেকানিকদের ধর্মঘটের কারণে রবিবার শতাধিক ফ্লাইট বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম উড়োজাহাজ সংস্থা ওয়েস্টজেট। একারণে কানাডার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে প্রায় ১ লাখ ১০ হাজার ভ্রমণকারী তাদের পরিকল্পনা বাতিল করেছেন এবং এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে ফেডারেল সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
বিষয়টির মিমংসার জন্য শ্রমমন্ত্রীর কঠোর নির্দেশ সত্ত্বেও প্রায় ৬৮০ জন কর্মী শুক্রবার কাজ ছেড়ে চলে যান। এসব কর্মী প্রতিদিন উড়োজাহাজ পরিদর্শন ও প্রয়োজনীয় মেরামত করেন।
ওয়েস্টজেট এয়ারলাইন্সের প্রেসিডেন্ট ডিডেরিক পেন রবিবার এক বিবৃতিতে বলেন, ‘বিষয়টি মিমাংসার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে ওয়েস্টজেটকে আদেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ধর্মঘট ও শালিসি বৈঠক একই সঙ্গে চলতে পারে না। তাই এবিষয়ে সরকারের অবস্থানের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে। এটি এমন একটি বিষয় যা তারা সমাধান করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং অন্যান্য কানাডিয়ানের মতো আমরাও অপেক্ষা করছি।’
আরও পড়ুন: চীনের সামরিক মহড়ার জেরে তাইওয়ানের বিমানের ফ্লাইট বাতিল
বৃহস্পতিবার থেকে ওয়েস্টজেট সোমবারের পর্যন্ত নির্ধারিত ৮২৯টি ফ্লাইট বাতিল করেছে। অথচ এটি মৌসুমের ব্যস্ততম ভ্রমণ সপ্তাহ।
রবিবারের বেশিরভাগ ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছিল কারণ ওয়েস্টজেটের ১৮০টি উড়োজাহাজের মধ্যে ৩২টি চালু রয়েছে।
ব্রিটিশ কলম্বিয়ার ভিক্টোরিয়া বিমানবন্দরের পার্কিংয়ে স্ত্রী ও দুই বছরের ছেলেকে নিয়ে গাড়িতে করে অপেক্ষা করছিলেন আলবার্টার লেথব্রিজের বাসিন্দা টেম্পল-মুরে। তিনি বলেন, 'আমাদের শুধু অপেক্ষা করতে হবে।’ তারা ক্যালগেরিতে যেতে একটি উড়োজাহাজের ফ্লাইটের চেষ্টা করছিলেন।
সন্ধ্যা ৬টা ৫ মিনিটের তাদের যে ফ্লাইট ছিল তা বাতিল করা হয়েছে। তারা সন্ধ্যা পর্যন্ত জানতেন না, পরের দিন সকাল ৭টার নির্ধারিত ফ্লাইটটিও যাবে কি না।
টার্মিনালের দিকে আঙুল দেখিয়ে টেম্পল-মারে বলেন, 'ওখানে অনেক ক্ষুব্ধ মানুষ আছে।’
দশম গ্রেডের এক্সচেঞ্জের শিক্ষার্থী মেরিনা সেব্রিয়ান জানান, রবিবার ভোরে তার স্পেনে ফেরার কথা থাকলেও তিনটি ফ্লাইট বাতিল হওয়ায় মঙ্গলবার পর্যন্ত পরিবারের কাছে ফিরতে পারবেন না।
তিনি বলেন, এটা দুঃখজনক। সাত ঘণ্টা আগের মতো আজও আমার বাসায় থাকার কথা ছিল, কিন্তু আমি নেই।
ওয়েস্টজেট ও এয়ারপ্লেন মেকানিক্স ফ্র্যাটারনাল অ্যাসোসিয়েশন উভয়ই অন্য পক্ষকে বিশ্বাস করে আলোচনায় বসতে অস্বীকার করার অভিযোগ করেছে।