রাশিয়ান ট্যাঙ্ক ও অন্যান্য যানবাহনের ৪০ মাইলের একটি দীর্ঘ সেনাবহর যুদ্ধের ষষ্ঠ দিনে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের দিকে যাচ্ছে। এর আগে দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহরে গোলাবর্ষণ তীব্র করেছে রাশিয়া।
ম্যাক্সার টেকনোলজির দেয়া স্যাটেলাইটের ছবিতে দেখা গেছে, কিয়েভের দিকে রাশিয়ান সেনাবাহিনীর প্রায় ৪০ মাইল দীর্ঘ একটি বহর জড়ো হয়েছে।
এদিকে, ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যকার প্রথম পাঁচ ঘন্টার আলোচনায় কোনো সমাধান না আসলেও উভয় পক্ষই আরেকটি বৈঠকে সম্মত হয়েছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট অবশ্য বলেছেন, তিনি বিশ্বাস করেন যে তাকে পিছু হটতে বাধ্য করতে ধাপে ধাপে গোলাবর্ষণের পরিকল্পনা করা হয়েছে।
সোমবার এক ভিডিও ভাষণে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন,‘আমি বিশ্বাস করি রাশিয়া এই সহজ পদ্ধতিতে (ইউক্রেনের ওপর) চাপ দেয়ার চেষ্টা করছে। ’
আরও পড়ুন: রাশিয়ান কামানের গোলায় ৭০ সেনা নিহতের দাবি ইউক্রেনের
তিনি সোমবার অনুষ্ঠিত আলোচনার বিশদ বিবরণ দেননি, তবে তিনি বলেন কিয়েভ ছাড় দিতে প্রস্তুত নয়।
আক্রমণের ষষ্ঠ দিনে রাশিয়ান সামরিক বাহিনীর প্রচণ্ড প্রতিরোধ ও আকাশসীমায় আধিপত্য বিস্তারের ফলে স্থবির হয়ে পড়েছে ইউক্রেন। ইতোমধ্যে অনেক ইউক্রেনীয় বেসামরিক নাগরিক আশ্রয়কেন্দ্র, বেসমেন্ট বা করিডোরে আশ্রয় নিয়েছেন।
পুতিনের একজন শীর্ষ সহযোগী এবং রাশিয়ান প্রতিনিধিদলের প্রধান ভ্লাদিমির মেডিনস্কি বলেছেন যে আক্রমণের পর উভয় পক্ষের মধ্যে অনুষ্ঠিত প্রথম আলোচনার সময় রাষ্ট্রদূতরা কিছু নির্দিষ্ট পয়েন্ট খুঁজে পেয়েছেন। তিনি আরও জানান, তারা আগামী দিনে আলোচনা চালিয়ে যেতে সম্মত হয়েছেন।
পুতিনের একজন শীর্ষ সহযোগী এবং রাশিয়ান প্রতিনিধিদলের প্রধান ভ্লাদিমির মেডিনস্কি বলেছেন, ‘অভিযানের পর উভয় পক্ষের মধ্যে প্রথম আলোচনা প্রায় পাঁচ ঘন্টা স্থায়ী হয়েছিল এবং প্রতিনিধি ‘কিছু নির্দিষ্ট পয়েন্ট খুঁজে পেয়েছেন। তারা আগামী দিনে আলোচনা চালিয়ে যেতে সম্মত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: ‘গুপ্তচরবৃত্তির’ অভিযোগে ১২ রুশ কূটনীতিককে বহিষ্কার করল যুক্তরাষ্ট্র