সেই সাথে করোনাভাইরাস মহামারি শিক্ষা খাতের বৈষম্যকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে বলে মঙ্গলবার প্রকাশিত ‘কোভিড-১৯ ও পরবর্তী সময়ের শিক্ষা’ সম্পর্কে জাতিসংঘ মহাসচিবের নীতিমালার সংক্ষিপ্ত বিবরণীতে জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, দীর্ঘ সময় ধরে স্কুল বন্ধের কারণে পড়াশোনার যে ক্ষতি হচ্ছে তা সাম্প্রতিক দশকগুলোতে শিক্ষা ব্যবস্থায় অর্জিত অগ্রগতিকে ম্লান করে দেয়ার হুমকির মধ্যে ফেলেছে। এটি শুধুমাত্র মেয়ে এবং নারী শিক্ষায় নয় বরং সবার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।
জাতিসংঘের নথিতে উল্লেখ করা হয়, করোনা অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে যে প্রভাব ফেলেছে তার কারণে আগামী বছর প্রায় ২ কোটি ৩৮ লাখেরও বেশি শিশু এবং তরুণ স্কুল-কলেজে যেতে পারবে না বা ড্রপ আউটের শিকার হবে।
শিক্ষা একটি মৌলিক মানবাধিকার। এটি ন্যায়, সাম্য ও অন্তর্ভুক্ত সমাজের ভিত্তি এবং টেকসই উন্নয়নের প্রধান চালিকা শক্তি।
সংক্ষিপ্ত এ বিবৃতিতে বলা হয়, আগে থেকেই বিদ্যমান শিক্ষার সংকট যাতে বিপর্যয়ে পরিণত না হয় সেজন্য সরকার এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে।
এতে আরও বলা হয়, কোভিড সংকটের কারণে বিশ্বব্যাপী শিক্ষা খাতে অর্থায়নের পরিমাণ ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পেতে পারে।
জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময়ে বিশ্বের ১৬০টিরও বেশি দেশে স্কুল বন্ধ ছিল। যা প্রায় ১০০ কোটি শিক্ষার্থীর পড়াশোনাতে প্রভাব ফেলেছে। কমপক্ষে ৪ কোটি শিশু তাদের প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। আড়াই কোটিরও বেশি স্কুল-বয়সী শিশু স্কুলে যেতে পারেনি।