কোভিড-১৯ মহামারির থাবায় বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশে শনাক্ত ও প্রাণহানির ঘটনা অব্যাহত রয়েছে। বিশ্বে করোনাভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩ হাজার ৯৭১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় (জেএইচইউ) থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাসে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৩০ লাখ ৫৫ হাজার ৮৯৪ জনে। আগেরদিন এ সংখ্যা ছিল ৩০ লাখ ৪১ হাজার ৯২৩ জন।
এছাড়া, ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ কোটি ৩৫ লাখ ১১ হাজার ১৬২ জনে।
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত ৩ কোটি ১৮ লাখ ৬২ হাজার ৮০ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ৫ লাখ ৬৯ হাজার ৪০১ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।
ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল আক্রান্তে তৃতীয় ও মৃত্যুর দিক দিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগী ১ কোটি ৪১ লাখ ২২ হাজার ছাড়িয়েছে এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৮১ হাজার ৪৭৫ জনের।
আরও পড়ুন: করোনা মোকাবিলায় কমিউনিটি রেডিওগুলোর নিরন্তর সম্প্রচার
পৃথিবীর দ্বিতীয় জনবহুল দেশ ভারতে করোনায় আক্রান্ত দেশের তালিকায় দ্বিতীয় এবং মৃত্যু নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে। দেশটিতে মোট আক্রান্ত ১ কোটি ৫৬ লাখ ১৬ হাজার ছাড়িয়েছে এবং মারা গেছেন ১ লাখ ৮২ হাজার ৫৫৩ জন।
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত কমলেও মৃত্যু বেড়েছে বলে বুধবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৯৫ জন মারা গেছেন। এনিয়ে দেশে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৬৮৩ জনে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুনভাবে ৪ হাজার ২৮০ জন নতুন করে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। বর্তমানে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৭ লাখ ৩২ হাজার ৬০ জনে।
এর আগে মঙ্গলবার অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৯১ জনের মৃত্যু এবং একই সময়ে ৪ হাজার ৫৫৯ জন আক্রান্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন: অন্যান্য দেশ থেকেও করোনার টিকা আনার উদ্যোগ সরকারের
নতুন সুস্থ হয়েছেন ৭ হাজার ৭২ জন। মোট সুস্থ হয়েছেন ৬ লাখ ৩৫ হাজার ১৮৩ জন।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৮ হাজার ৪০৮টি। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১৫.০৭ এবং এ পর্যন্ত ১৩.৯৪ শতাংশ। মৃত্যুর হার ১.৪৬ শতাংশ। সুস্থতারহার ৮৬.৭৭ শতাংশ।
চলমান টিকাদান কার্যক্রম
সরকার ফেব্রুয়ারির ৭ তারিখ হতে সারাদেশে টিকাদান কার্যক্রম শুরু করে। বর্তমানে বাংলাদেশ করোনা মোকাবিলায় অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাটি ব্যবহার করছে, যা ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউট হতে সংগ্রহ করা হয়।