জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বলেছেন, পারস্পরিক বোঝাপড়া ও উন্নতির জন্য পর্যটন একটি জোরালো শক্তি। কিন্তু এর সর্বোচ্চ সুবিধা পেতে হলে পর্যটনশিল্পকে অবশ্যই নিরাপদ করতে হবে এবং আরও উন্নত করতে হবে।
তিনি বলেন, এবারের এই বিশ্ব পর্যটন দিবসে, আসুন আমরা জনমানুষ ও পরিবেশবান্ধব পর্যটন খাত গড়ে তুলতে সবুজ বিনিয়োগ ব্যবস্থার শুরু করি।
আগামীকাল ২৭ সেপ্টেম্বর বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, বর্তমানে জলবায়ু জরুরি অবস্থা অনেক পর্যটন এলাকার জন্য হুমকি হয়ে উঠেছে। পর্যটনের ওপর নির্ভরশীল সমাজ ও অর্থনীতির জন্যও হুমকি হয়ে উঠেছে এই পরিস্থিতি। জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাতে অনেক উন্নত দেশেই পর্যটন খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধির অব্যাহত ধারা হুমকিতে পড়েছে; জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে এই সংকট আরও ঘণীভূত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: মানুষের উন্নত ভবিষ্যৎ-শান্তিপূর্ণ বিশ্ব গড়ার পথ হলো শিক্ষা: জাতিসংঘ মহাসচিব
তিনি বলেন, সরকার ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে অবশ্যই এমনভাবে বিনিয়োগ করতে হবে, যাতে টেকসই ও পুনরুদ্ধারমূলক পর্যটন খাত গড়ে তোলা সম্ভব হবে। বেসরকারি খাতকে অবশ্যই শূন্য নিঃসরণ কৌশল গ্রহণ করতে হবে এবং জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়াতে হবে। সর্বত্র জীববৈচিত্র্য ও বাস্তুসংস্থানগত ভারসাম্য রক্ষায় সবাইকে সচেষ্ট হতে হবে।
গুতেরেস বলেন, সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ করে পর্যটনখাতে বিনিয়োগ করলে তা কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি স্থানীয় ব্যবসা ও শিল্পের বিকাশে ভূমিকা রাখতে পারবে।
তিনি বলেন, এছাড়া এ ধরনের বিনিয়োগ পরিবেশের ওপর পর্যটনের নেতিবাচক প্রভাব কমানোর পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সমাজের ক্ষমতায়নে, স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সংস্কৃতিকে সবার সামনে তুলতে ধরতে এবং সামাজিক সুরক্ষা দিতেও সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারবে।
তিনি আরও্ বলেন, আসুন আমরা সবাই মিলে টেকসই পর্যটনের পূর্ণ সম্ভাবনাকে সম্পুরণ করি। কারণ, টেকসই পর্যটনে বিনিয়োগ মানেই সবার জন্য সুন্দর ভবিষ্যৎ গঠনে বিনিয়োগ।
আরও পড়ুন: বিশুদ্ধ বাতাসের জন্য বৈশ্বিক সহযোগিতা বাড়াতে জাতিসংঘ মহাসচিবের আহ্বান
পাকিস্তানের ইমরান খানের বিরুদ্ধে যথাযথ বিচারিক প্রক্রিয়া মানার আহ্বান জাতিসংঘ প্রধানের