ফলে প্রায় তিন লাখ আমেরিকানের জীবন কেড়ে নেয়া মহামারিটি রোধে ব্যাপক টিকাদান কর্মসূচি শুরু করতে যুক্তরাষ্ট্র আর মাত্র এক ধাপ পেছনে রয়েছে।
টিকাদান কয়েক দিনের মধ্যে শুরু হতে পারে। এটা নির্ভর করছে বিশেষজ্ঞদের ওই কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন কত দূত অনুমোদন দেবে তার ওপর।
আরও পড়ুন: দায়িত্ব নেয়ার সাড়ে তিন মাসের মধ্যে ১০০ মিলিয়ন টিকার প্রতিশ্রুতি বাইডেনের
‘এ মহামারির দীর্ঘ সুরঙ্গের শেষে এটা এক আলো,’ বলেন আমেরিকান একাডেমি অব পেডিয়াট্রিক্সের সভাপতি ডা. স্যালি গোজা।
মার্কিন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ ১৭-৪ ভোটে (একজন ভোটদানে বিরত ছিলেন) উপসংহারে পৌঁছে যে ফাইজান ও তাদের জার্মান অংশীদার বায়োএনটেকের টিকা দেখে মনে হচ্ছে এটি ১৬ ও তার বেশি বয়সের ব্যক্তিদের ওপর জরুরি ব্যবহারের জন্য নিরাপদ ও কার্যকর।
প্রথম দেশ হিসেবে যুক্তরাজ্যে গত মঙ্গলবার ফাইজার-বায়োএনটেকের কোভিড-১৯ টিকা প্রয়োগ শুরুর পর দুই ব্যক্তির অ্যালার্জিতে আক্রান্ত হওয়া নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেয়া সত্ত্বেও মার্কিন কমিটি এ সুপারিশ দিল।
কমিটির সদস্য ফিলাডেলফিয়া শিশু হাসপাতালের ডা. পল ওফিট বলেন, টিকাটির বিষয়ে এখনও বেশকিছু বিষয় অজানা। কিন্তু ঝুঁকির চেয়ে সম্ভাব্য সুবিধার পাল্লাটি ভারী।
কোভিড-১৯ মহামারি যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ভয়াবহ তাণ্ডব চালিয়ে যাচ্ছে। দেশটিতে বুধবার এক দিনে রেকর্ড তিন হাজার ১০০ ব্যক্তির অধিক মারা গেছেন।
আরও পড়ুন: যুক্তরাজ্যে করোনার টিকা প্রয়োগ শুরু
ফাইজার জানিয়েছে, ডিসেম্বর শেষ হওয়ার আগেই তারা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য আড়াই কোটি ডোজ উৎপাদন করে ফেলবে। এ টিকা একজনকে দুই ডোজ দিতে হবে। তবে প্রাথমিক সরবরাহ স্বাস্থ্য কর্মী, বৃদ্ধাশ্রমের বাসিন্দা ও অন্যান্য ঝুঁকিপূর্ণ দলের সদস্যদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে।
আগামী সপ্তাহে খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন মডার্নার একটি টিকা পর্যালোচনা করবে। এটিও ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকার মতো কার্যকর হিসেবে প্রমাণ দিয়েছে।
আরও পড়ুন: কোভিড: ভারতে অক্সফোর্ডের টিকার জরুরি অনুমোদন দেয়ার আবেদন
এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় (জেএইচইউ) থেকে প্রকাশিত সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত দেশটিতে ১ কোটি ৫৫ লাখ ৯৯ হাজার ১২২ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ২ লাখ ৯২ হাজার ১ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।