পূর্বদিকের জলসীমা অভিমুখে ফের একটি দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছে উত্তর কোরিয়া। বুধবার দেশটির প্রতিবেশি দক্ষিণ কোরিয়া এ তথ্য জানায়।
এর আগে গত দুদিন আগে উত্তর কোরিয়া এক হুঁশিয়ারি দিয়ে জানায়, তার দেশের সীমান্তের কাছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উসকানিমূলক গোয়েন্দা কর্মকাণ্ডের জন্য ‘চরম’ মূল্য দিতে হবে।
দ.কোরিয়ার জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ এক বিবৃতিতে বলেছে, আজ সকাল ১০টায় সামরিক বাহিনী উত্তরের রাজধানী অঞ্চল থেকে একটি দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ শনাক্ত করেছে।
তিনি আরও বলেন, মার্কিন বাহিনীর সঙ্গে মিলে দ. কোরিয়ার সামরিক বাহিনী নজরদারি বাড়িয়েছে এবং যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় তারা তৎপর রয়েছে।
জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়াসুকাজু হামাদা সাংবাদিকদের বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্রটি অনেক উঁচু দিয়ে কোণ বরাবর জাপান সাগরে ছোঁড়া হয়েছে। দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের সময় প্রতিবেশী দেশগুলোকে এড়াতে উ. কোরিয়া এই কৌশল ব্যবহার করে।
হামাদা বলেন, ক্ষেপণাস্ত্রটি জাপানের একচ্ছত্র অর্থনৈতিক অঞ্চলের বাইরে কোরিয়ান উপদ্বীপের উপকূলের প্রায় ৫৫০ কিলোমিটার পূর্বে সমুদ্রে পড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
২০১৭ সাল থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডকে লক্ষ্য করে উ. কোরিয়া দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি চালাচ্ছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শহরগুলোতে আঘাত হানতে সক্ষম পারমাণবিক অস্ত্র উদ্ভাবনের অংশ হিসেবে বেশ কয়েকটি আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে উত্তর কোরিয়া।
আরও পড়ুন: আবারও ব্যালিস্টিক মিসাইল নিক্ষেপ করল উত্তর কোরিয়া
বুধবারের উৎক্ষেপণের আগে, গত এপ্রিল মাসে উত্তর কোরিয়া তার সর্বশেষ দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছিল।
চলতি সপ্তাহের শুরুতে তাদের ব্যাপারে গুপ্তচরবৃত্তি করতে একটি মার্কিন সামরিক বিমান উড়ানোর অভিযোগে একাধিক বিবৃতি দেয় উ. কোরিয়া।
এর প্রায় একমাস পর বুধবার দুরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রটি নিক্ষেপ করে উ. কোরিয়া।
যদিও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া বরাবরই উত্তরের এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে এবং সংঘাত সৃষ্টি করে এমন কোনো কাজ বা বাগাড়ম্বর থেকে উ. কোরিয়াকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে।
গত সোমবার রাতে এক বিবৃতিতে উ. কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উনের বোন কিম ইয়ো জং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করেছিলেন।
এসময় তিনি দাবি করেছিলেন, মার্কিন গুপ্তচর বিমানটি উত্তর কোরিয়ার পূর্বাঞ্চলে আটবার প্রদক্ষিণ করেছে।
মঙ্গলবার আরেক বিবৃতিতে কিম ইয়ো জং বলেছেন, মার্কিন সামরিক বাহিনী যদি তার দেশের আকাশপথে অবৈধ গুপ্তচরবৃত্তি কার্যক্রম চালিয়ে যায়, তবে তারা ‘চরম ফল’ ভোগ করবে।
এছাড়াও উ. কোরিয়ার সামরিক বাহিনীও মার্কিন গুপ্তচর বিমানগুলোকে গুলি করে ভূপাতিত করার হুমকি দিয়েছে।
আরও পড়ুন: উত্তর কোরিয়ার দূরপাল্লার মিসাইল পরীক্ষা
করোনাভাইরাস: উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ, সমালোচনায় দ. কোরিয়া