বিভিন্ন দেশে ওমিক্রন সংক্রমণের সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বে করোনা আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে। এই পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৩১ কোটি ৫৩ লাখ ছাড়িয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের জনস্ হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩১ কোটি ৫৩ লাখ ৯০ হাজার ৪০২ জনে ছাড়িয়েছে এবং মারা গেছেন ৫৫ লাখ ১০ হাজার ৩২৭ জন।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ আমেরিকায় এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা ছয় কোটি ২৭ লাখ ২৭ হাজার ৪৪ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে আট লাখ ৪৩ হাজার ৬২৪ জন।
যুক্তরাজ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৫১ হাজার ৪৯৩ জনে। দেশটিতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে এক কোটি ৪৯ লাখ ৫৬ হাজার ৮৬৪ জন।
বাংলাদেশের প্রতিবেশি দেশ ভারতে মোট তিন কোটি ৬০ লাখ ৭০ হাজার ৫১০ জনের সংক্রমণ চিহ্নিত হয়েছে। একই সময়ে মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে চার লাখ ৮৪ হাজার ৬৫৫ জনে।
আরও পড়ুন: চার-পাঁচদিনের মধ্যেই হাসপাতালগুলো করোনা রোগীতে পূর্ণ হতে শুরু করবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও চার জনের মৃত্যু হয়েছে এবং শনাক্ত হয়েছে আরও দুই হাজার ৯১৬ জন। এ নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ১১১ জনে। মোট শনাক্তের সংখ্যা ১৬ লাখ ১ হাজার ৩০৫ জনে পৌঁছেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ২৪ হাজার ৯৬৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এইদিন শনাক্তের হার ১১ দশমিক ৬৮ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬৩ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৭৬ শতাংশ।
এদিকে ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ২৬৬ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৫১ হাজার ৬৫৩ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৬ দশমিক ৯০ শতাংশ।
আরও পড়ুন: দেশে করোনায় একদিনে শনাক্ত প্রায় ৩ হাজার
সংক্রমণ ঊর্ধ্বগতি
বুধবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক করোনাভাইরাস আক্রান্তের সাম্প্রতিক ঊর্ধ্বগতি নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, আগামী চার-পাঁচ দিনের মধ্যেই হাসপাতালগুলো করোনা রোগীতে পূর্ণ হতে শুরু করবে।
বিকেলে রাজধানীর বিসিপিএস মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ তীব্র গতিতে বাড়ছে। এক সপ্তাহ আগেও হাসপাতালগুলোতে গড়ে আড়াইশ’র মতো রোগী ছিল, যা এখন হাজার হয়েছে। যা আরও বাড়বে। এতে করে মৃত্যুও বাড়বে। আবারও চিকিৎসকদের সেবা দিতে হিমশিম খেতে হবে। এটা বাড়লে বেকায়দায় পড়তে হবে।
মন্ত্রী বলেন, দেশে গতকাল শনাক্তের হার যেখানে ছিল ৯ শতাংশে, তা আজ সেটা ১১ শতাংশে উঠেছে। গত ১০-১৫ দিন আগেও শনাক্ত রোগী দুই থেকে আড়াইশ’ জন থাকলে এখন সেটি তিন হাজারের কাছাকাছি।