জেএইচইউর তথ্য অনুসারে, করোনায় বিশ্বব্যাপী মৃত্যু হয়েছে ৯ লাখ ৩৯ হাজার ১৭৫ জনের।
মহামারিতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত ৬৬ লাখের বেশি করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে এবং মারা গেছেন ১ লাখ ৯৬ হাজার ৭৫২ জন।
সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত দেশের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারত। দক্ষিণ এশিয়ার এ দেশটিতে করোনা রোগীর সংখ্যা ৫০ লাখ ২০ হাজার ৩৫৯ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৮২ হাজার ৬৬ জনের।
ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ব্রাজিল। এ পর্যন্ত দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৪ লাখ ১৯ হাজার ৮৩ জন মানুষ এবং মৃত্যু হয়েছে এক লাখ ৩৪ হাজার ১০৬ জনের।
বাংলাদেশ পরিস্থিতি:
মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪ হাজার ৮২৩ জনে দাঁড়িয়েছে।
এছাড়া, নতুন করে ১ হাজার ৬১৫ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। যার ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ৩ লাখ ৪২ হাজার ৬৭১ জনে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে বুধবার পাঠানো করোনা সংক্রান্ত নিয়মিত স্বাস্থ্য সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, করোনা শনাক্তের জন্য দেশের সরকারি ও বেসরকারি ৯৪টি ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৩ হাজার ২৫৮টি এবং পরীক্ষা করা হয়েছে আগের নমুনাসহ ১৩ হাজার ৩৬০টি। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ১৭ লাখ ৭০ হাজার ১০৬টি।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১২.০৯ শতাংশ। আর মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছেন ১৯.৩৬ শতাংশ।
নতুন যে ২১ জন মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ১৬ এবং নারী পাঁচজন। এখন পর্যন্ত মোট মারা যাওয়াদের মধ্যে পুরুষ ৩ হাজার ৭৬০ জন বা ৭৭.৯৬ শতাংশ এবং নারী ১ হাজার ৬৩ জন বা ২২.০৪ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১.৪১ শতাংশ।
এদিকে, করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ২ হাজার ৩৭৫ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৪৭ হাজার ৯৬৯ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার এখন পর্যন্ত ৭২.৩৬ শতাংশ।
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।