জননিরাপত্তামন্ত্রী সরথ বিরাসেকেরা শনিবার বলেছেন, তিনি বোরকা নিষিদ্ধ করার জন্য মন্ত্রিসভার অনুমোদন চেয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘কিছু মুসলিম নারী পুরো চেহারা ঢেকে যে বোরকা পরিধান করে, জাতীয় নিরাপত্তা’র কারণে এটা নিষিদ্ধ করতে হবে।’
আরও পড়ুন: করোনা: শ্রীলঙ্কায় মুসলিম ও খ্রিস্টানদের কবর হবে বিচ্ছিন্ন দ্বীপে
তবে সরকারি মুখপাত্র কেহেলিয়া রামবুকওয়েলা বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞা একটি গুরুতর সিদ্ধান্ত যার জন্য পরামর্শ ও ঐক্যমতের প্রয়োজন। এটি পরামর্শক্রমে করা হবে। তাই, এর জন্য সময় প্রয়োজন।’
এর আগে, একজন পাকিস্তানি কূটনীতিক নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন।
বৌদ্ধপ্রধান শ্রীলঙ্কায় ২০১৯ সালে ইসলামী জঙ্গিরা কয়েকটি চার্চ ও হোটেলে হামলা চালায়। এতে ২৫০ জনেরও বেশি লোক নিহত হয়। এরপর সাময়িকভাবে দেশটিতে বোরকা পরা নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। ওই বছরের শেষ দিকে উগ্রবাদ নির্মূলের অঙ্গীকার করে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন গোতাবায়া রাজাপক্ষে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালীন তিনি দেশটির উত্তরাঞ্চলে কয়েক দশক ধরে চলা সন্ত্রাসবাদ দমনের জন্য সুপরিচিত ছিলেন। যুদ্ধের সময় তার বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠলেও তিনি তা অস্বীকার করেন।
আরও পড়ুন: এপ্রিলে শ্রীলঙ্কা সফরে যেতে পারে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল
শ্রীলঙ্কা মাদরাসা নামে পরিচিত এক হাজারেরও বেশি ইসলামিক স্কুল বন্ধ করারও পরিকল্পনা করেছে কারণ তারা নিবন্ধভুক্ত নয় এবং জাতীয় শিক্ষানীতি অনুসরণ করেনি।
শ্রীলঙ্কায় ২২ মিলিয়ন মানুষের মধ্যে মুসলমান প্রায় ৯ শতাংশ, যেখানে বৌদ্ধরা জনসংখ্যার ৭০ শতাংশেরও বেশি। জাতিগত সংখ্যালঘু তামিল, যারা মূলত হিন্দু, তারা জনসংখ্যার প্রায় ১৫ শতাংশ।