নতুন ভ্যারিয়েন্টের করোনার প্রকোপ রোধে শতকরা ৮০ শতাংশ ভ্যাকসিনেশন কভারেজ প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার(ডব্লিউএইচও)মুখপাত্র।
ডব্লিউএইচও’র জরুরি কর্মসূচি বিষয়ক প্রধান ডা. মিশেল রায়ান সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘ব্যাপক পর্যায়ে ভ্যাকসিনেশন কভারেজের মাধ্যমে এই অবস্থা থেকে উত্তরণ সম্ভব।’
রায়ান স্বীকার করেছেন যে, সংক্রমণের ক্ষেত্রে ঠিক কতে শতাংশ ভ্যাকসিনেশন কভারেজ প্রভাব ফেলবে সেই ডাটা এখনও পুরোপুরিভাবে স্পষ্ট নয়। তবে এক্ষেত্রে ৮০ শতাংশ কভারেজ ব্যাপক হারে সংক্রমণের ঘটনাগুলো এড়াতে প্রভাব রাখতে পারে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বিশেষজ্ঞ ডাক্তার মারিয়া ভ্যান বলেছেন, ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ইতোমধ্যে ৬০টিরও বেশি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। এটা ব্রিটেনের আল্ফা ভ্যারিয়েন্ট থেকেও বেশি সংক্রমণযোগ্য বলে তিনি উল্লেখ করেছেন।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত ১৭ কোটি ৩৫ লাখ ছাড়ালো
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিওএইচও) প্রধান টেড্রস আধানম গ্যাব্রিয়েসুস ইতোমধ্যে বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলোতে যাতে করেনা ভ্যাকসিন এর প্রাপ্যতা বাড়ানো যায় সে ব্যাপারে জাতিসংঘের ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রমে সহায়তার জন্য জি৭ এর আওতাভুক্ত দেশগুলোকে আহ্বান জানিয়েছেন।
এই সপ্তাহের শেষে ইংল্যান্ডে জি৭ নেতাদের সাথে বৈঠকের কথা রয়েছে উল্লেখ করে টেড্রস বলেন, সেপ্টেম্বরের শেষ নাগাদ যাতে বিশ্বের প্রতিটি দেশের ১০ শতাংশ মানুষ এবং বছর শেষে প্রতিটি দেশের ৩০ শতাংশ মানুষ যাতে ভ্যাকসিন পায় তার সে লক্ষ্য বাস্তবায়নে উক্ত নেতারা সহযোগিতা করতে পারে।
তিনি বলেন, এই লক্ষ্য অর্জনে আমাদের জুন-জুলাইয়ে ১০০ মিলিয়ন এবং সেপ্টেম্বর নাগাদ ২৫০ মিলিয়ন টিকা প্রয়োজন।
এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের ক্ষমতা জি৭ দেশগুলোর রয়েছে বলে ডব্লিওএইচও প্রধান মন্তব্য করেন।