ভারতের ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ ও প্রথম উপজাতীয় হিসেবে বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়েছেন ৬৪ বছর বয়সী দ্রৌপদী মুর্মু।
ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) সাবেক গভর্নর ও সাবেক স্কুলশিক্ষক দ্রৌপদী মুর্মুকে প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত করেন। মুর্মুর প্রধান বিরোধী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন সাবেক অর্থমন্ত্রী যশবন্ত সিনহা।
ভারতের নির্বাচন কমিশন জানায়, আগামী ২৫ জুলাই মুর্মু বর্তমান রাষ্ট্রপ্রধান রাম নাথ কোবিন্দের স্থলাভিষিক্ত হয়ে শপথ নেবেন।
এর আগে মঙ্গলবার ভারতের ১৫তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। দেশটির ভোটাধিকার প্রয়োগে যোগ্য চার হাজার ৫০০ জনের বেশি আইনপ্রণেতাদের মধ্যে ৯৫ শতাংশেরও বেশি আইনপ্রণেতা ভোট দিয়েছেন।
ভারতে রাষ্ট্রপতি সরাসরি জনগণের মাধ্যমে নির্বাচিত নয়। দেশটির রাজ্য ও কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চলগুলোর বিধায়ক, লোকসভা ও রাজ্যসভার নির্বাচিত সাংসদের প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করা হয়। কিন্তু এই নির্বাচনের ক্ষেত্রে সকল বিধায়ক ও নির্বাচিত সংসদদের ভোটের মূল্য ভিন্ন ভিন্ন হয়
বাংলাদেশের মতো ভারতীয় রাষ্ট্রপতি হলেন আনুষ্ঠানিক রাষ্ট্রপ্রধান যিনি নির্বাহী ক্ষমতা প্রয়োগ করেন না।
আরও পড়ুন: ভারতের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে
কে এই মুর্মু?
দ্রৌপদী মুর্মু ১৯৫৮ সালের ২৯ জুন স্বাধীন ভারতে জন্মগ্রহণ করেন। মুর্মু ১৯৭৯ সালে তিনি স্নাতক শেষ করেন এবং স্কুল শিক্ষক হওয়ার আগে একজন সরকারি কর্মচারী হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু করেন।
তিনি পরবর্তীকালে পূর্ব ভারতীয় রাজ্য ওডিশার রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। তিনি প্রথমে স্থানীয় নাগরিক সংস্থার কাউন্সিলর এবং তারপর একজন বিধায়ক নির্বাচিত হন।
দুই মেয়াদের বিধায়ক ২০০০ সালে ওডিশা সরকারের মন্ত্রী হয়েছিলেন এবং প্রায় ১৫ বছর পরে মুর্মু প্রতিবেশি পূর্ব রাজ্য ঝাড়খণ্ডের প্রথম নারী রাজ্যপাল হিসেবে শপথ নেন।
ব্যক্তিগত জীবনে মুর্মু তার স্বামী ও দুই ছেলেকে হারিয়েছেন। তার স্বামী হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান এবং তার দুই ছেলের মধ্যে একজনকে ২০০৯ সালে রহস্যজনক পরিস্থিতিতে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। তার একটি মেয়ে রয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাকায় ভারতীয় সেনাপ্রধান
বাংলাদেশ সেনাপ্রধানের সঙ্গে ভারতীয় সেনাপ্রধানের সৌজন্য সাক্ষাৎ