আইনি এ বিষয়টি কভার করা অ্যাসোসিয়েডেট প্রেসের ওয়াশিংটন ব্যুরোর জাতীয় প্রতিবেদক কলিন লং এ প্রতিবেদনে মামলাগুলো কীভাবে নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে পারে তা তুলে ধরেছেন।
মামলাগুলো কী করার চেষ্টা করছে?
ভোটের হিসাব-নিকাশ নিয়ে রিপাবলিকানদের আরও পর্যবেক্ষণ পাওয়ার আগ পর্যন্ত পেনসিলভেনিয়া ও মিশিগানে ভোট গণনা সাময়িকভাবে স্থগিত করার আবেদন করা হয়েছে। আর জর্জিয়াতে ডাকে আসা ভোট বিষয়ে আইন মানা নিশ্চিত করতে বিচারকের আদেশ চাওয়া হয়েছে। তবে, বিচারকরা ইতোমধ্যে মিশিগান ও জর্জিয়ার মামলাগুলো খারিজ করে দিয়েছেন। যদিও এগুলো নিয়ে আপিল করা যাবে।
বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন?
নির্বাচন আইন বিশেষজ্ঞ এবং রাজ্য নির্বাচন কর্মকর্তারা জোর দিয়ে বলছেন যে ব্যাপকভাবে বা এমনকি বিচ্ছিন্নভাবেও ভোট জালিয়াতির কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। শুধুমাত্র ভোট গণনা করতে বিগত বছরগুলোর তুলনায় বেশি সময় লাগছে। কারণ করোনভাইরাস মহামারির ফলে মানুষজন যেভাবে কাজটি করত তা বদলে গেছে। তবে ট্রাম্প শিবির বলছে যেভাবেই হোক এ মামলাগুলো দরকারি।
এদিকে, বাইডেনের প্রচারণা শিবিরের আইনজীবী বব বাউর বলেছেন যে মামলাগুলোর কোনো ভিত্তি নেই এবং এগুলো কেবল নির্বাচনী প্রক্রিয়া সম্পর্কে মিথ্যা কাহিনি ছড়িয়ে দেয়ার উদ্দেশ্যে দায়ের করা হয়েছে। এগুলো প্রধানত নির্বাচনকে কলঙ্কিত করতে ট্রাম্পের নিজের প্রচেষ্টার অংশ।
আইনি পদক্ষেপগুলোর পরিণতি কী?
নির্বাচনের ফলে মামলা কীভাবে প্রভাব ফেলে তার ভালো এক উদাহরণ ২০০০ সালের জর্জ ডব্লিউ বুশ আর আল গোরের ঘটনা। তবে এখন আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন শক্তিশালী একটি মামলা এমন একটি রাজ্যে হতে হবে যার ফলাফল সার্বিকভাবে কে নির্বাচিত হবেন তা নির্ধারণ করে দেবে। সেই সাথে প্রার্থীদের মোট ভোটের পার্থক্য মামলার লক্ষ্যবস্তু হওয়া ভোটের চেয়ে কম হতে হবে। ট্রাম্পের মামলার জন্য এখনও এ পরিস্থিতি তৈরি হয়নি।
মামলা কী আর নেই?
ভোটের আগে উভয় পক্ষ থেকে শতাধিক মামলা হয়। এগুলো করা হয়েছিল করোনাভাইরাস মহামারিতে নির্বাচন কীভাবে হবে তা নিয়ে। যার মধ্যে ছিল হাজির না হয়ে দেয়া ভোট কখন পর্যন্ত গণনা করা হবে, মাস্ক পরতে হবে কি না, এসব বিষয় নিয়ে। এসব মামলার কিছু ৩ নভেম্বর পর্যন্ত চালু ছিল, তবে বেশির ভাগই সমাধান হয়ে গেছে।