এর আগে অং সান সু চির সরকারকে ক্ষমতায় ফেরানোর দাবিতে রবিবারের বিক্ষোভে মিয়ানমারজুড়ে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। কাঁদানে গ্যাস ও ফাঁকা গুলির ছুড়েও বিক্ষোভ দমনে ব্যর্থ হয়ে দেশটির সবচেয়ে বড় শহর ইয়াঙ্গুনে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে সরাসরি গুলি ছোড়া শুরু করলে ভয়াবহ সহিংস পরিস্থিতি তৈরি হয়।
এদিকে, মিয়ানমারে সহিংসতা রোধ এবং ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক সংকট মোকাবিলায় দেশটির সামরিক বাহিনীর সাথে আলোচনার জন্য দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় (আসিয়ান) দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বিশেষ বৈঠকের প্রস্তুতি নিয়েছেন। মঙ্গলবার এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: মিয়ানমার বাহিনীর হাতে বিভিন্ন শহরে নিহত ১৮: জাতিসংঘ
মিয়ানমার জান্তা সরকারের কারফিউ জারি, সমাবেশ নিষিদ্ধ
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে চলমান বিক্ষোভের সময় রবিবার কমপক্ষে ১৮ জন নিহত হয়েছেন বলে তারা নিশ্চিত হয়েছে।
রাজনৈতিক কয়েদিদের জন্য স্বাধীন সহায়তা সমিতির তথ্যানুসারে কর্তৃপক্ষ সপ্তাহান্তে এক হাজারেরও বেশি লোককে আটক করেছে।
আটককদের মধ্যে কমপক্ষে সাতজন সাংবাদিক রয়েছে। এর মধ্যে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের থেইন জাও আছেন। সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা নেয়ার পর থেকে কমপক্ষে দুই ডজন সাংবাদিককে আটক করা হয়েছে।
মঙ্গলবার শত শত বিক্ষোভকারী ইয়াঙ্গুনের হিলডান এলাকায় জড়ো হয়, যেখানে একদিন আগে পুলিশ টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করেছিল।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা গ্রহণের ব্যাখ্যা দিয়েছে মিয়ানমার: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ফেসবুকের পর মিয়ানমারে এবার বন্ধ হলো টুইটার, ইনস্টাগ্রামও
মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থান ব্যর্থ করতে বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা করবে জাতিসংঘ’
অং সান সু চিকে হটিয়ে সেনাবাহিনী গত ১ ফেব্রুয়ারি ক্ষমতা দখলের পর প্রায় প্রতিদিনই দেশটিতে বিক্ষোভ হচ্ছে। দিনে দিনে এই প্রতিবাদের মাত্রা আরও তীব্র হচ্ছে।
এই বিক্ষোভ দমন করতে নিরাপত্তা বাহিনীগুলো শনিবার থেকে সাঁড়াশি অভিযান শুরু করে।
এদিকে, সারা বিশ্ব থেকেই সামরিক অভ্যুত্থানের নিন্দা জানানো হয়েছে। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ অং সান সু চিসহ অন্যান্য বন্দীদের মুক্তি দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে। মিয়ানমারে অবরোধ আরোপের চিন্তা করছে যুক্তরাষ্ট্র।