মিয়ানমারের সামরিক জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনরত জনগণের সেবায় নিয়োজিত গোপন হাসপাতালের সন্ধান পেয়েছে দেশটির সামরিক বাহিনী।
ফ্রেব্রুয়ারিতে মিয়ানমার সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখলের পর স্বাস্থ্যসেবা এবং ডাক্তারদের ওপর যুদ্ধ ঘোষণা করে সেদেশের জান্তা বাহিনী। দেশের শত্রু সন্দেহে মেডিকেল কর্মকর্তাদের আটক, হামলা এবং হত্যা করে আসছে জান্তা বাহিনী।
আরও পড়ুনঃ গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ বন্ধে মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান ফর্টিফা রাইটসের
সম্প্রতি ওই গোপন হাসপাতালে সশস্ত্র হামলা চালায় সামরিক বাহিনী। ইয়াংগুনের এক চিকিৎসক বলেন, ‘সামরিক বাহিনী পুরো স্বাস্থ্যখাতকে যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে। আমরা বিশ্বাস করি রোগীদের সেবা প্রদান করার মতো মানবিক কাজ করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। ওইদিন ক্লিনিকে এক জনের গলায় গুলি করা হয়, আর কিছুক্ষণের মধ্যেই সেই তরুণ মারা যায়।’
আরও পড়ুনঃ মিয়ানমারের সামরিক শাসনের প্রধান ঘটনাগুলো
এক মেডিকেল শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমি এর আগে কখনো মানুষ খুন হতে দেখিনি। ওইদিনের পর থেকে আমি শুধু কান্না করেছি, আমি ঠিকমতো ঘুমাতে পারছি না, খেতে পারছিনা।’
মিয়ানমারের সামরিকবাহিনী অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের পর থেকে এই পর্যন্ত কমপক্ষে ৮৯০ জনকে হত্যা করেছে। এছাড়া ৫ হাজার ১০০ জনকে আটক করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ আসিয়ান নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে মিয়ানমারের জান্তা প্রধান
এসব কিছুর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার হচ্ছে দেশটির স্বাস্থ্যখাত। ক্ষমতা দখলের পর থেকে কমপক্ষে ২৪০ জন স্বাস্থ্যকর্মী হামলার শিকার হয়েছেন। এছাড়াও ৪০০ ডাক্তার এবং ১৮০ জন নার্সের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে দেশটির সামরিক বাহিনী।