যুক্তরাষ্ট্রের বার্লিংটনে শনিবার ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত তিন যুবককে গুলি করা হয়েছে।
স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, এদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ঘৃণা থেকে হামলাটি করা হতে পারে। পুলিশ সন্দেহভাজনকে খুঁজছে।
রবিবার বার্লিংটন পুলিশ প্রধান জন মুরাদ বলেছেন, শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ইউভিএম ক্যাম্পাসের কাছে হামলা হয়েছে। আহতদের মধ্যে দুজনের অবস্থা স্থিতিশীল এবং একজন ‘গুরুতর জখম’ হয়েছেন। ভুক্তভোগী তিনজন এক আত্মীয়ের বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশে হাঁটছিলেন, তখন তারা হ্যান্ডগান হাতে একজন শ্বেতাঙ্গের মুখোমুখি হন।
মুরাদ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছেন, ‘কোনো কথা না বলে অভিযুক্ত পিস্তল থেকে কমপক্ষে চার রাউন্ড গুলি ছোড়ে এবং পালিয়ে যায়।’
মুরাদ বলেন, তিনজনই ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত। এদের মধ্যে দুইজন মার্কিন নাগরিক এবং একজন যুক্তরাষ্ট্রের বৈধ বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের টেক ইউনিভার্সিটিতে ছুরিকাঘাতে আহত ৪, সন্দেহভাজন আটক
এর আগে রবিবার, আমেরিকান-আরব বৈষম্য বিরোধী কমিটি একটি বিবৃতিতে জানায়, নিহতরা ফিলিস্তিনি আমেরিকান কলেজছাত্র এবং ‘ধারণা করা হচ্ছে ভুক্তভোগীরা আরব ছিল বলেই তাদের উপর গুলি চালানো হয়েছে।’
এফবিআই বলেছে, তারা গুলির বিষয়ে অবগত।
নিউইয়র্কের আলবানিতে অবস্থিত এফবিআই মুখপাত্র সারাহ রুয়ান এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘যদি তদন্তে ফেডারেল আইন লঙ্ঘনের কোনো তথ্য পাওয়া যায়, এফবিআই তদন্ত করার জন্য প্রস্তুত।’
হোয়াইট হাউস বলেছে, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গুলির ঘটনা সম্পর্কে জানেন। আইন প্রয়োগকারীরা আরও তথ্য সংগ্রহ করার সঙ্গে সঙ্গে তাকে আপডেট জানানো হবে।
কাউন্সিল অন আমেরিকান-ইসলামিক রিলেশনস এক বিবৃতিতে গুলি চালানোর জন্য দায়ী ব্যক্তি বা ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার বা দোষী সাব্যস্ত করার ব্যাপারে কেউ কোনো তথ্য দিতে পারলে ১০ হাজার ডলার পুরস্কারের প্রস্তাব দিয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারের পক্ষ থেকে দ্য ইনস্টিটিউট ফর মিডল ইস্ট আন্ডারস্ট্যান্ডিং এক্সে (পূর্বে টুইটার) একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘আমরা আমাদের সন্তানদের নিরাপত্তা ও সুস্থতার বিষয়ে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন।’
তারা আরও জানায়, ‘আমরা আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে এটিকে ঘৃণামূলক অপরাধ হিসেবে বিবেচনাসহ একটি পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করার আহ্বান জানাই। গুলিকারীকে বিচারের আওতায় না আনা পর্যন্ত আমরা স্বস্তিতে থাকব না।’