সোমবার হাইতির নাগরিক সুরক্ষা সংস্থা জানিয়েছে, দেশটিতে গত শনিবার ৭.২ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১ হাজার ৪১৯ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে ৬ হাজারেরও বেশি মানুষ। তবে গ্রীষ্মকালীন ঝড়ের পূর্বাভাসের কারণে উদ্ধার তৎপরতা এবং চিকিৎসা ব্যবস্থা ব্যাহত হবার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
দেশটির লি কায়েস জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক গেদ পিটারসন বলেন, ‘আমরা হাসপাতালের আঙ্গিনায় তাঁবু টাঙানোর পরিকল্পনা করেছিলাম, কিন্তু আমাদের বলা হয়েছে যে এটি নিরাপদ নয়।’
রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্স থেকে প্রায় ১২৫ কিলোমিটার (৮০ মাইল) পশ্চিমে ভূমিকম্পটি বেশ কিছু কিছু শহরকে প্রায় ধ্বংস করে দিয়েছে। করোনাভাইরাস মাহামারি, দলীয় সহিংসতা, ক্রমবর্ধমান দরিদ্রতা এবং গত মাসে দেশটির প্রেসিডেন্টের হত্যার পর রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যে নতুন করে আবার প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখে পড়ল।
গ্রীষ্মকালীন ঝড়ে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। নাগরিক সুরক্ষা সংস্থা জানিয়েছে, লি কায়েসে সোমবার সন্ধ্যায় হালকা বৃষ্টি শুরু করেছে, তবে এটি কিছু এলাকায় ১৫ ইঞ্চি (৩৮ সেন্টিমিটার) পর্যন্ত বৃষ্টি হতে পারে। পোর্ট-অ-প্রিন্সে ইতোমধ্যেই ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে।
এদিকে হাইতির নাগরিক সুরক্ষা সংস্থার প্রধান জেরি চ্যান্ডলার বলেছেন, আসন্ন ঝড় নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন। কারণ এটি আমাদের জন্য পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলতে পারে।
লি কায়েস, জেরেমি শহর এবং নিপ্পস বিভাগের কথা উল্লেখ করে সংস্থার প্রধান জেরি চ্যান্ডলার বলেন, ‘আমরা এখন যে সম্পদগুলো পেয়েছি তা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত স্থানে পৌঁছানোর জন্য কাজ করছি।’
ভূমিকম্পে আঘাত হানার তিন দিন পরও আহতরা লি কায়েসের জেনারেল হাসপাতালে প্রবেশ করতে থাকে। রোগীরা সিঁড়ি, করিডোর এবং হাসপাতালের খোলা বারান্দায় চিকিৎসার জন্য অপেক্ষা করছিল।
আরও পড়ুন: আফগানদের সাময়িক আশ্রয় দিতে যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধ, ঢাকার ‘প্রত্যাখ্যান’