এ বছর রসায়নে নোবেল পুরস্কার তিন বিজ্ঞানীকে সমান অংশে দেয়া হয়েছে। নোবেল প্রাপ্তরা হলেন- ক্যারোলিন আর. বার্টোজি, মর্টেন মেলডাল এবং কে. ব্যারি শার্পলেস।
ওষুধ প্রস্তুতে ব্যবহার করা যেতে পারে এমন ' আলাদা হওয়া অনুগুলোকে একত্রিত করার' উপায় প্রযুক্তি উদ্ভাবনের জন্য তাদেরকে পুরস্কার দেয়ার জন্য মনোনীত করা হয়েছে।
বুধবার রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সের সেক্রেটারি জেনারেল হ্যান্স এলেগ্রেন সুইডেনের স্টকহোমের ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউটে বিজয়ীদের ঘোষণা করেন।
তাদের কাজটি ‘ক্লিক কেমিস্ট্রি’ এবং ‘বায়োর্থোগোনাল প্রতিক্রিয়া’ হিসেবে পরিচিত। ক্যান্সারের ওষুধ তৈরি ও ডিএনএ মানচিত্র তৈরি করতে এবং নির্দিষ্ট সামগ্রী তৈরির উদ্দেশ্যে এটি ব্যবহৃত হয়।
নোবেল বিজয়ী বার্তোজি ক্যালিফোর্নিয়ার স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের, মেলডাল ডেনমার্কের কোপেনহেগেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এবং শার্পলেস ক্যালিফোর্নিয়ার স্ক্রিপস রিসার্চের সঙ্গে যুক্ত।
আরও পড়ুন: পদার্থবিদ্যায় নোবেল পুরস্কার পেলেন ৩ বিজ্ঞানী
শার্পলেস এর আগে ২০২১ সালে নোবেল পুরস্কার জিতেছিলেন। তিনিই পঞ্চম ব্যক্তি যিনি দু’বার পুরস্কার পেলেন।
গত বছর পুরস্কারটি দেয়া হয়েছিল বিজ্ঞানী বেঞ্জামিন লিস্ট এবং ডেভিড ডব্লিউসিকে। নোবেল কমিটি বলেছে, ম্যাকমিলানের অণু তৈরির উদ্ভাবন এবং পরিবেশগতভাবে পরিচ্ছন্ন উপায় খুঁজে বের করার জন্য ‘ইতোমধ্যেই মানবজাতির প্রচুর উপকার হচ্ছে।’
মানবদেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার মূল চালিকাশক্তি নিয়ান্ডারথাল ডিএনএর গোপন রহস্য উন্মোচনের জন্য এ সপ্তাহে চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেল পুরস্কার জিতেছেন সুইডিশ বিজ্ঞানী সভান্তে পাবো।
আরও পড়ুন: কোভিড-১৯: ২০২০ সালের নোবেল পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান বাতিল
এছাড়া মঙ্গলবার পদার্থবিজ্ঞানে যৌথভাবে পুরস্কার জিতেছেন তিন বিজ্ঞানী। ফরাসী অ্যালেইন অ্যাসপেক্ট, আমেরিকান জন এফ. ক্লাজার এবং অস্ট্রিয়ান অ্যান্টন জেইলিংগার। তারা দেখিয়েছেন যে ক্ষুদ্র কণাগুলো আলাদা হয়ে গেলেও একে অপরের সঙ্গে একটি
সংযোগ বজায় রাখতে পারে।এটি একটি ঘটনা যা ‘অনুমিত পরিমাণ জড়িয়ে ফেলা’ নামে পরিচিত। যা বিশেষ কম্পিউটিং এবং তথ্য নিরাপদ করতে ব্যবহার করা যেতে পারে।
বৃহস্পতিবার সাহিত্যের মাধ্যমে নোবেল পুরস্কার প্রদান শুরু হয়েছে। আগামী শুক্রবার ২০২২ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কার ঘোষণা করা হবে এবং সোমবার অর্থনীতির পুরস্কার ঘোষণা করা হবে।
পুরস্কারগুলোর একটিতে নগদ পুরস্কার রয়েছে ১০ মিলিয়ন সুইডিশ ক্রোনার (প্রায় ৯ লাখ মার্কিন ডলার)। যা আগামী ১০ ডিসেম্বরে বিজয়ীদের কাছে হস্তান্তর করা হবে৷ ১৮৯৫ সালে পুরস্কারের নির্মাতা সুইডিশ উদ্ভাবক আলফ্রেড নোবেলের রেখে যাওয়া একটি উইল থেকে পুরস্কারের অর্থ আসে৷