চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে (২ থেকে ৬ অক্টোবর) দেশে ৩৫৭ দশমিক ৭৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিটেন্স এসেছে।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংক এতথ্য প্রকাশ করেছে।
চলতি (২০২২-২৩) অর্থবছরে নগদ প্রণোদনা দুই শতাংশ থেকে বাড়িয়ে দুই দশমিক পাঁচ শতাংশ বাড়ানো সত্ত্বেও সেপ্টেম্বরে রেমিটেন্সের অভ্যন্তরীণ প্রবাহ কমে যায়। অক্টোবরেও এই প্রবণতা বজায় রয়েছে।
বাংলাদেশি প্রবাসীরা সেপ্টেম্বরে এক দশমিক ৫৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অভ্যন্তরীণ রেমিটেন্স পাঠিয়েছে, যা ছিল গত ৭ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন।
সেপ্টেম্বরে রেমিটেন্স প্রবাহ কমার পর অক্টোবরেও রেমিটেন্স প্রবাহের ধীর গতি দেখা যাচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা জানান, চলতি মাসের প্রথম ছয় দিনে ৩৫৭ দশমিক সাত মিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রবাসী আয় বাংলাদেশে এসেছে।
ওই কর্মকর্তা বলেন, বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে প্রতিদিন গড়ে ৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিটেন্স পাচ্ছে। এই বর্তমান ধারা অব্যাহত থাকলে চলতি মাসের শেষ নাগাদ এক দশমিক ৮০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাওয়া যাবে।
অথচ অভ্যন্তরীণ রেমিটেন্স বৃদ্ধির প্রবণতা দিয়ে অর্থবছর শুরু হয়েছিল। যেখানে জুলাই মাসে বাংলাদেশ দুই দশমিক ০৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং আগস্ট মাসে দুই দশমিক ০৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রবাসী আয় পেয়েছে। কিন্তু সেপ্টেম্বরে এসে তা নিম্নমুখী হয়।
আর্থিক খাতের অভ্যন্তরীণ পর্যবেক্ষকরা মনে করেন যে প্রবাসীরা অভ্যন্তরীণ রেমিটেন্সের জন্য হুন্ডিকে বেছে নিচ্ছেন,কারণ মার্কিন ডলারের বিনিময় হার খুচরা বাজারে ৮ থেকে ১৪ টাকা বেশি।
আরও পড়ুন: আগস্টে রেমিটেন্স ২ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে
রেমিটেন্স: ১ অক্টোবর থেকে প্রতি ডলারে ১০৮ টাকার পরিবর্তে ১০৭.৫ টাকা পাবেন প্রবাসীরা
চলতি মাসের ১৫ দিনে দেশে ১ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিটেন্স এসেছে