বৈদেশিক মুদ্রা সংকটের মধ্যে আগস্টে দেশে রেকর্ড পরিমাণ ২ দশমিক ০৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিটেন্স এসেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি ২০২২-২৩ অর্থ বছরের জুলাইতে অভিবাসী শ্রমিকরা ২ দশমিক ০৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার দেশে পাঠিয়েছিল।
জুলাইতে রেমিটেন্স প্রবাহ ছিল ১ দশমিক ৮৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ২০২১-২২ অর্থবছরের আগস্টে ছিল ১ দশমিক ৮১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
চলতি ২০২২ অর্থবছরে বাংলাদেশ ২১ দশমিক ০৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিটেন্সন্স আহরণ করেছে, যা ২১ অর্থবছরে আহরিত ২৪ দশমিক ৭৭ মার্কিন ডলারের তুলনায় ১৫ শতাংশ কমেছে।
চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসের রেমিটেন্স প্রবাহ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে আশার আলো দেখালেও ক্রমবর্ধমান আমদানি চাহিদা মেটানো কঠিন হয়েছে।
পড়ুন:দেশের অর্থনীতির জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নরের ৩ অগ্রাধিকার
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম ইউএনবিকে বলেন, ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে রেমিটেন্স পাঠাতে আগ্রহ তৈরিতে প্রক্রিয়াগুলোকে সহজীকরণ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
তিনি বলেন, সরকার রেমিটেন্স প্রণোদনার পাশাপাশি নীতিগত সহায়তা প্রদান করছে। এখন ডলারের মূল্যহার বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এই খাত সংশ্লিষ্টরা বলছে, মহামারি পরবর্তী বাংলাদেশের জনশক্তি রপ্তানি ও চাকরির সুযোগ ও রেমিটেন্স প্রবাহ গত অর্থবছরের তুলনায় আরও বাড়াবে।
জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) তথ্যমতে, ২০২২ অর্থবছরে ৯ লাখ ৮৮ হাজার কর্মী বিদেশে গেছে যা ২০১১ অর্থবছরে ছিল ২ লাখ ৭১ হাজার।
পড়ুন: মেগা প্রকল্প অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলবে না: প্রধানমন্ত্রী
গত সাত বছরে বার্ষিক বৈদেশিক চাকরির এটি সর্বোচ্চ সংখ্যা।
কর্মকর্তারা আশা করছেন, মালয়েশিয়ার সমঝোতা চুক্তি অনুযায়ী পুনরায় জনশক্তি নেয়া শুরু করলে এই অর্থবছরে কর্মীদের বিদেশে যাওয়ার সংখ্যা আরও বাড়বে।
পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০২১ অর্থবছরে করোনা মহামারির মধ্যে ২ লাখ ৭১ হাজার ৪৪৫ জন চাকরি পেয়েছে, যা ২০২০ সালে ছিল ৪ লাখ ৯৮ হাজার ৯৮৩ জন, ২০১৯ সালে ছিল ৬ লাখ ৫৯ হাজার ৪৪ জন, ২০১৮ সালে ছিল ৮ লাখ ৬৬ হাজার ৪১৭ জন, ২০১৭ সালে ৮ লাখ ৯৩ হাজার ৭৩৬ জন এবং ২০১৬ সালে ৬ লাখ ৭২ হাজার ৭২১ জন।
আরও পড়ুন: ৫০ বছরে বাংলাদেশের অর্থনীতির উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি