তবে, সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন যে চলতি মাসের শেষ দিকে আমদানি পুরোদমে শুরু করা হবে।
আরও পড়ুন: সিলেটের ভোলাগঞ্জ দিয়ে চুনাপাথর আমদানি শুরু
করোনাভাইরাস মহামারির অজুহাতে ভারতীয় সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে চেলা ও ইছামতি নৌপথে দীর্ঘদিন ধরে চুনাপাথর আমদানি বন্ধ ছিল। এতে স্থানীয় প্রায় শতাধিক ছোট-বড় ব্যবসায়ী বড় ক্ষতির মুখে পড়েন। এছাড়া সীমান্তবর্তী এলাকার কয়েক হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েন। সম্প্রতি চেলা সীমান্ত দিয়ে চুনাপাথর আমদানি শুরু হলেও ইছামতিতে বন্ধ ছিল। আমাদানি বন্ধ থাকায় সরকারের নির্ধারিত বার্ষিক রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে কি না এ নিয়ে শঙ্কা রয়েছে।
আরও পড়ুন: যশোরে ইছামতি নদীর প্রভাবে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
গত ২৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ভারত চেলা ও ইছামতি নৌথে চুনাপাথর রপ্তানি বন্ধ করে দেয়।
ছাতক শুল্ক স্টেশন সূত্র জানায়, চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরে চেলা নৌপথে ২ কোটি ৫৫ লাখ ৩৮ হাজার এবং ইছামতি নৌপথে ১ কোটি ৭৪ লাখ ৩৬ হাজার টাকাসহ মোট তিনটি পথে রাজস্ব আদায়ের মোট লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৮৩ কোটি ৮৭ লাখ ৮৫ হাজার টাকা। চুনাপাথর আমদানি কার্যক্রম স্বাভাবিক না হলে সরকারের এ রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা বড় ধরনের ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ছাতক লাইম স্টোন ইম্পোটার্স অ্যান্ড সাপ্লায়ার্স গ্রুপের সাবেক সেক্রেটারি আব্দুল হাই আজাদ ও ব্যবসায়ী ইলিয়াছ আলী জানান, ভারত থেকে চুনাপাথর আমাদানি বন্ধ থাকায় এখানে ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি বেকার হয়ে পড়েছেন ‘বারকি’ শ্রমিকরা। ব্যবসায়ীরা ব্যাংকের ঋণসহ বিরাট ক্ষতির মুখেও পড়েছেন।
আরও পড়ুন: ইছামতি নদী দখলকারীদের তালিকা চেয়েছে হাইকোর্ট
ছাতক শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. ইব্রাহিম খলিল বলেন, ‘মূলত মহামারি করোনার প্রভাবেই চুনাপাথর আমদানিতে সরকারের রাজস্ব আদায় কমেছে। চুনাপাথর আমদানিতে আমাদের কোনো জটিলতা নেই।’
এখন ভারতের অভ্যন্তরে রাস্তা খারাপের কারণে ২৭ জানুয়ারির আগে সে দেশের ব্যবসায়ীরা চুনাপাথর রপ্তানি করতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন বলে জানান শুল্ক স্টেশনের এই কর্মকর্তা।