মঙ্গলবার ‘ডিসিসিআই বিজনেস কনক্লেভ-২০২১’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘স্থিতিশীল পরিবেশ বজায় রাখা, দারিদ্র্যের হার কমানো, আরও কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং উন্নয়ন অব্যাহত রাখাই সরকারের মূল লক্ষ্য হিসেবে রয়েছে।’
ড. মোমেন বলেন, ২০২৪ সালের মধ্যে একটি উন্নয়নশীল দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ হওয়ার জন্য প্রবৃদ্ধির গতিপথকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া প্রয়োজন।
তিনি বলেন, ‘জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণের জন্য ধারাবাহিকভাবে ৮ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন আমাদের সোনার বাংলা গড়তে সহায়তা করবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অর্থনৈতিক কূটনীতির ওপর জোর দিয়েছেন এবং সরকারের সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয় এবং কর্তৃপক্ষ এ স্বপ্ন বাস্তবায়নে সহায়তা করবে।’
আরও পড়ুন: জলবায়ু ও অভিবাসন ইস্যুতে সক্রিয় সহায়তা চায় ঢাকা
ড. মোমেন বলেন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্প্রসারণ, বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ, উন্নত প্রযুক্তির বিনিময়, নতুন নতুন শ্রমবাজার খোঁজার বিষয়কে গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার।
‘মানসম্পন্ন পরিষেবা সরবরাহ করে আমরা একটি বৈশ্বিক বিনিয়োগের গন্তব্যস্থল হতে চাই,’ বলেন তিনি।
তিনি বলেন, শিল্প খাতে উৎপাদনশীলতা বাড়াতে কার্যকর আন্তযোগাযোগ গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে বলে বর্তমান সরকার বিশ্বাস করে এবং এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগে সম্প্রসারণে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি নতুন শাখা স্থাপন করা হয়েছে, যার মাধ্যমে এ ধরনের কার্যক্রমে সর্বাত্মক সহযোগিতা দেয়া হবে। এছাড়া বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশের মিশনগুলো ঢাকা চেম্বারকে সর্বাত্মক সহযোগিতা দেবে।
তিনি বলেন, ২০৩৫ সাল নাগাদ বাংলাদেশ হবে বিশ্বের ২৫তম অর্থনীতির দেশ।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার ২০১৮ পেল ১৯ শিল্প প্রতিষ্ঠান
ভারত থেকে যথাসময়েই ভ্যাকসিন পাবে বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত এক দশকে দারিদ্র্য দূরীকরণ আর উচ্চ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনে আশাতীত সফলতা এসেছে। করোনাকালেও জিডিপির হারে বিশ্বের তৃতীয় আর এশিয়ার প্রথম অবস্থানে আছে বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, ‘করোনা মহামারির মধ্যেও আমাদের পণ্য উৎপাদন প্রক্রিয়া সচল ছিল এবং বর্তমান সরকার দেশের মানুষের জীবন ও জীবিকার মধ্যে সমন্বয়ের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম, ঢাকা চেম্বারের সভাপতি রিজওয়ান রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।