বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, দেশের স্বার্থ রক্ষা করেই আইএমএফ এর ঋণ নেয়া হবে। আমাদের নিরাপদ রিজার্ভ গড়ে তোলার জন্য এ ঋণ দরকার। প্রয়োজনীয় শর্ত অর্থ মন্ত্রণালয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে।
শনিবার সকালে রংপুরে লেক ভিউ পার্ক সিটি এলাকায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আইএমএফ এর ঋণ নিলে দেশের রিজার্ভে কোন প্রভাব পড়বে না। সব দিক বিবেচনা করে আইএমএফ এর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনাও রয়েছে। আইএমএফ টাকা না দিলে আমরা রসাতলে যাবো, তা নয়। যদি প্রয়োজন পড়ে সেজন্য একটা সিকিউরিটি নিয়ে রাখা হচ্ছে। আমাদের নিরাপদ রিজার্ভ গড়ে তোলার জন্য এ ঋণ দরকার। আশা করি বিশ্বব্যাংক আমাদের সহায়তা করবে।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ার হাইকমিশনারের সঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রীর বৈঠক
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন সামনে দুর্ভিক্ষ হতে পারে। আমরা যেন এক ইঞ্চিও আবাদযোগ্য জমি ফেলে না রাখি। আমরা দেশে সর্বোচ্চ ফসল ফলনোর চেষ্টা করবো। তিনি আমাদের সতর্ক করেছেন। আমাদের ব্যাপক প্রস্তুতি রয়েছে, আশা করি বাংলাদেশের কোন সমস্যা হবে না।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিশ্বের পোশাক মার্কেটে এ মুহূর্তে ডাউনওয়ার্ক চলছে। যেটা গত দু-তিন মাস আগে সর্বোচ্চ পিকআপে ছিল। করোনার প্রভাব, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ ইস্যু এগুলোর জন্য মানুষ অর্থনৈতিকভাবে খুব চাপে পড়েছে। পাশাপাশি আমাদের দেশে যে পোশাক উৎপাদন করি সেটা হলো সাধারণ মানুষের জন্য। এ ধরনের পোশাক সেলস-এ কোন ক্ষতি হয় না। সামান্য পরিবর্তন হতে পারে। আশা করি জানুয়ারির পর থেকে ধীরগতি কভার হয়ে যাবে।
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, বিশ্ব বাজারে একটু দাম বেড়ে গেলে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট তৈরি করে বাজারকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা করছে। সে জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সহ সরকারের অন্য দপ্তরগুলো সজাগ রয়েছে এবং কাজ করে যাচ্ছে।
এ সময় রংপুর জেলা পরিষদের নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোসাদ্দেক হোসেন বাবলুসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
পরে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি রংপুর জেলা স্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত রংপুর জেলা আওয়ামী যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে যোগদান করেন। সম্মেলনে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলনে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য শ্রী রমেশ চন্দ্র সেন, এমপি, শাহজাহান খান, এমপিসহ বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় এবং স্থানীয় নেতাকর্মীরা।