দেশকে স্থিতিস্থাপক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিতে যে সকল গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার সাহায্য করতে পারে সেসব বিষয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করতে বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রাইজার শনিবার ঢাকায় আসছেন।
এ সফরের ব্যাপারে রাইজার বলেছেন, ‘আমি আবারও বাংলাদেশে আসতে পেরে এবং সরকারের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারমূলক কিছু বিসয় আলোচনা করার সুযোগ পেয়ে আনন্দিত। যা দেশটিকে স্থিতিস্থাপক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিতে এবং জনগণের জন্য সুযোগ তৈরিতে সাহায্য করতে পারে।’
শুক্রবার বিশ্বব্যাপী ঋণ দানকারী সংস্থাটি জানিয়েছে, তার সঙ্গে বাংলাদেশ ও ভুটানের কান্ট্রি ডিরেক্টর আব্দুলায়ে সেকও থাকবেন।
আরও পড়ুন: বিশ্বব্যাংককে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রকল্পে অর্থায়ন ত্বরান্বিত করার আহ্বান নসরুল হামিদের
তিন দিনের সফরে রাইজার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। এসময় রাইজার সেকের সঙ্গে তাদের পরিচয় করিয়ে দেবেন, যিনি ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি বাংলাদেশ ও ভুটানের জন্য বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টরের পদে নিযুক্ত হবেন। তারা বিশ্বব্যাংকের-সহায়তায় চলমান একটি প্রকল্পও পরিদর্শন করবেন।
সেক বলেন, ‘দারিদ্র্য হ্রাস, জলবায়ু পরিবর্তনের অভিযোজন ও দুর্যোগ-ঝুঁকির প্রস্তুতি এবং স্কুলে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে লিঙ্গ সমতাসহ উন্নয়নের অনেক ক্ষেত্রেই বাংলাদেশের একটি অভাবনীয় রেকর্ড রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমি বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে উন্মুখ। কারণ দেশটি ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ-মধ্যম আয়ের মর্যাদা অর্জনের লক্ষ্যে কাজ করছে।’
সেনেগালের নাগরিক সেক ১৯৫৫ সালে একজন অর্থনীতিবিদ হিসেবে বিশ্বব্যাংকে যোগ দেন। তারপর থেকে বিভিন্ন দেশে গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।
এই দায়িত্ব নেয়ার আগে সেক ক্যামেরুন, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র, নিরক্ষীয় গিনি, গ্যাবন ও কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের কান্ট্রি ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করেছেন।
তিনি আফগানিস্তান, মিয়ানমার ও মলদোভার জন্য বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ম্যানেজার হিসেবেও কাজ করেছেন।
স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগীদের মধ্যে বিশ্বব্যাংক প্রথম সহায়তাকারী।
সেই তখন থেকে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে ৩৭ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি অনুদান, সুদ-মুক্ত ও রেয়াতি ঋণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। বাংলাদেশে বর্তমানে সবচেয়ে বড় চলমান ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইডিএ) প্রোগ্রাম চালু রয়েছে এবং দেশে বর্তমানে ১৫ দশমিক সাত বিলিয়ন ডলারের মোট ৫৫টি প্রকল্প চলমান।
আরও পড়ুন: মন্দার ‘খুব কাছাকাছি’ বিশ্ব অর্থনীতি: বিশ্বব্যাংক প্রধান
২০৩৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশের জিডিপি ৪% কমতে পারে: বিশ্বব্যাংকের সমীক্ষা