এছাড়া, সরকারিভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতির আওতায় ৫৫ হাজার ১২৯ মেট্রিক টনসহ সর্বমোট ১ লাখ ১১ হাজার ৫২০ মেট্রিক টন চাল ভারত থেকে দেশে এসেছে বলে বুধবার খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে।
বেসরকারি পর্যায়ে গত ৩ জানুয়ারি ১০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ১ লাখ ৫ হাজার মেট্রিক টন, ৪ জানুয়ারি ১২ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ১ লাখ ৬০ হাজার মেট্রিক টন এবং ৫ জানুয়ারি সাত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ৬৫ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানির অনুমতি প্রদানের জন্য খাদ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করা হয়।
আরও পড়ুন: মিয়ানমার থেকে চাল আমদানির প্রস্তাব বাতিল
চাল আমদানিসহ ১০ প্রস্তাবে সরকারের অনুমোদন
এছাড়া, ৬ জানুয়ারি ৪৯ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ১ লাখ ৭৪ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন, ১০ জানুয়ারি ৬৪ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ১ লাখ ৭১ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন, ১০ জানুয়ারি দ্বিতীয় ধাপে ৭২ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে আরও ১ লাখ ৪১ হাজার মেট্রিক টন চাল, ১৩ জানুয়ারি ৪৩ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ১ লাখ ৬ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন এবং ১৭ জানুয়ারি ৬৩ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ৯১ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানির অনুমতিদিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করে খাদ্য মন্ত্রণালয়।
বরাদ্দপত্র ইস্যুর সাত দিনের মধ্যে বরাদ্দপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানকে এলসি খুলে এ সংক্রান্ত তথ্য খাদ্য মন্ত্রণালয়কে অবহিত করতে বলা হয়।
পাঁচ হাজার মেট্রিক টন বরাদ্দপ্রাপ্ত ব্যবসায়ীদের এলসি খোলার ১০ দিনের মধ্যে ৫০ শতাংশ এবং সর্বমোট ২০ দিনের মধ্যে সমুদয় চাল এবং ১০-১৫ হাজার মেট্রিক টন বরাদ্দপ্রাপ্ত ব্যবসায়ীদের এলসি খোলার ১৫ দিনের মধ্যে ৫০ শতাংশ এবং সর্বমোট ৩০ দিনের মধ্যে সমুদয় চাল বাংলাদেশে বাজারজাত করতে হবে মর্মে খাদ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারিকৃত অফিস আদেশে উল্লেখ করা হয়।
আরও পড়ুন: হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে চাল আমদানি শুরু
বেসরকারিভাবে চাল আমদানির শুল্ক কমিয়ে ২৫ শতাংশ নির্ধারণ
পরবর্তীতে বেসরকারি পর্যায়ে চাল আমদানির জন্য বরাদ্দপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান কর্তৃক এলসি খোলার সময়সীমা ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়। পরে ৩১ জানুয়ারি খাদ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক এক অফিস আদেশে বেসরকারি পর্যায়ে চাল আমদানির জন্য বরাদ্দপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান কর্তৃক এলসি খোলার সময়সীমা ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বৃদ্ধি করে নির্দেশনা জারি করা হয়।
খাদ্যশস্যের বাজারমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রবণতা রোধ, নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠীকে সহায়তা এবং বাজারদর স্থিতিশীল রাখার স্বার্থে বেসরকারি পর্যায়ে চালের আমদানি শুল্ক ৬২.৫০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ নির্ধারণ করে সরকার। সেই ধারাবাহিকতায় খাদ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক ২৭ ডিসেম্বর বেসরকারিভাবে চাল আমদানি জন্য বৈধ আমদানিকারকদের প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্রসহ ১০ জানুয়ারির মধ্যে খাদ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করতে বলা হয়।