হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজের আমদানি শুরু হওয়ায় কমতে শুরু করেছে দেশি পেয়াজের দাম। ফলে ৮০ টাকার পেঁয়াজ আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে কেজিতে ২০ টাকা কমে খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। আর আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ এখনো পুরোপুরি বাজারে আসেনি। তবে ৪০ টাকায় কিছু পেঁয়াজ বন্দরের মোকামে পাইকারী বিক্রি হয়েছে। আর এই এই পেঁয়াজ খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজিতে।
সরকার ৮০ দিন পর পেঁয়াজ আমদানির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ায় গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ৩টি ট্রাকে ৬০ মেট্রিকটন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়। যা আজও ভারত থেকে আমদানি অব্যাহত থাকবে।
এদিকে হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারক সেলিম উদ্দিন জানান, আজ সন্ধ্যা থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ সরবরাহ করা হবে। এরপর থেকে দাম অনেক কমে আসবে। পাশাপাশি দেশি পেঁয়াজের দামও অনেক কমবে। ফলে কয়েকদিনের মধ্যেই পেঁয়াজের বাজার ৩০-৪০ টাকার মধ্যে চলে আসবে।
আরও পড়ুন: হিলি ও সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি শুরু
আরেক আমদানিকারক শহীদুল ইসলাম জানান, আমদানিকারকরা হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির জন্য প্রায় ১৮ হাজার মেট্রিকটনের এলসি করেছেন। যা গতকাল থেকে আমদানি করা হচ্ছে।
স্থানীয় খুচরা ব্যবসায়ী মঈনুল হোসেন জানান, আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ এখনো পুরোপুরি বাজারে আসেনি। তবে আমদানি হচ্ছে এই খবরে দাম কেজিতে ২০ টাকা কমে বিক্রি করা হচ্ছে দেশি পেঁয়াজ। দু-একজন খুচরা ব্যবসায়ী ভারতীয় আমদানি করা পেঁয়াজ ৫০ টাকায় বিক্রি করছে।
বাজারে বিকাল বা সন্ধ্যা নাগাদ ভারতীয় পেঁয়াজ পুরোপুরি চলে আসবে। কাল থেকে দেশি ও ভারতীয় পেঁয়াজের দাম আরও কমে যাবে। এতে ভোক্তারা পেঁয়াজের দামে স্বস্তি পাচ্ছে।
এদিকে সরকার দেশের উৎপাদিত পেঁয়াজের ন্যায্যমুল্য নিশ্চিত করতে চলতি বছরের ১৬ মার্চ থেকে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানিতে অনুমতি বন্ধ রাখে। এরপর থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ ছিল।
আরও পড়ুন: পেঁয়াজের সংকট দূর হবে, পেঁয়াজ নিয়ে রাজনীতি বন্ধ হবে: কৃষিমন্ত্রী