শনিবার রাজধানীর মৎস ভবনে এ বিষয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও মৎস্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে এ খাতের অংশীজনদের মতবিনিময় সভায় এ আহ্বান জানানো হয়।
এ সংক্রান্ত সমস্যা তাৎক্ষণিকভাবে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে স্থাপিত নিয়ন্ত্রণ কক্ষে হটলাইনের মাধ্যমে (নম্বর ০২-৯১২২৫৫৭) অবহিত করার জন্যও অনুরোধ জানানো হয়।
সভায় মৎস খাত সংশ্লিষ্ট সংগঠনের নেতারা বর্তমান পরিস্থিতিতে মাছের পোনা পরিবহন ও বাজারজাতকরণে বাধা, মাছের মাধ্যমে করোনা ছড়ানোর গুজব, আমদানিকৃত মাছের খাদ্য উপকরণ ছাড়করণে বন্দর ও কাস্টমস জটিলতা, মাছের মোকাম বন্ধ থাকা, ব্যাংক ঋণের সুদ মওকুফ ও কিস্তি স্থগিতকরণ, রপ্তানি হ্রাস, চিংড়ি রপ্তানিতে প্রণোদনা বৃদ্ধিসহ প্রভৃতি বিষয় তুলে ধরেন।
এ সময় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব রওনক মাহমুদ বলেন, সরকার সব সময় আপনাদের পাশে আছে। মাছের পোনা পরিবহন, বাজারজাতকরণ, মোকাম সচল রাখার বিষয়ে জেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে যোগাযোগ করে মৎস্য অধিদপ্তর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
মাছ চাষিদের ব্যাংক ঋণের সুদ মওকুফ, কিস্তি স্থগিতকরণ ও প্রণোদনা দেয়ার বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সাথে সমন্বয় করে ব্যবস্থা গ্রহণে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সভায় আশ্বস্ত করা হয়।
সচিব রওনক মাহমুদের সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী শামস আফরোজসহ মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বাংলাদেশ মেরিন ফিশারিজ অ্যাসোসিয়েশন, ফিড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ লাইভ এন্ড চিলড ফুড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন, শ্রিম্প হ্যাচারি অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ এবং ফিস হ্যাচারি এন্ড ফার্ম ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের নেতারা সভায় উপস্থিত ছিলেন।