তারা জানান, যদি রপ্তানি করতেই হয় তাহলে স্থলবন্দর দিয়েই করতে হবে। সমুদ্রপথ দিয়ে নয়। কারণ তারা বারবার ক্ষতিগ্রস্ত হতে চান না। তাছাড়া, সমুদ্রপথে বাণিজ্য তাদের পরিচিতও না।
বন্দরের ব্যবসায়ীরা বলেন, ভারত গত ১৪ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দিলে অস্থির হয়ে উঠে পেঁয়াজের বাজার। হিলি স্থলবন্দরের মোকামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভারতীয় পেঁয়াজ ৮০-১০০ টাকা কেজির মধ্যে বিক্রি হয়। বর্তমানে বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ নেই বললেই চলে। এ অবস্থায় হিলিসহ দেশের অন্য ব্যবসায়ীরা মিয়ানমার, পাকিস্তান ও চীন থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু করলে ভারত আবার বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানির আগ্রহ দেখায়।
পেঁয়াজ আমদানিকারক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘এলসি করার পরও ভারত আমাদের পেঁয়াজ দিচ্ছে না। ফলে আমরা ব্যবসায়ীরা আর্থিকভাবে লোকসানে রয়েছি। তার ওপর ভারতের একটার পর একটা নতুন সিদ্ধান্ত আমাদের ভাবিয়ে তুলছে। আমরা ভারতের ব্যবসায়ীদের বলে দিয়েছি, নদী কিংবা সমুদ্রপথে পেঁয়াজ আমদানি করতে পারব না। কারণ সমুদ্রপথে ঝুঁকি রয়েছে। তাছাড়া, সমুদ্রপথে আমরা কখনও আমদানিও করিনি।’
হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ বলেন, ‘টানা এক মাসের ওপরে হলো ভারত সরকার আমাদের দেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ রেখেছে। আবার তারা গত ৯ অক্টোবর নতুন করে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি করার আগ্রহ দেখিয়ে কয়েকটি শর্ত দিয়েছে। কিন্তু এসব শর্তের খবরে ব্যবসায়ীদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।’
তিনি জানান, ভারতের শর্তে বলা হয়েছে তারা আপাতত স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ রপ্তানি করবে না। চেন্নাই সমুদ্রবন্দরের মাধ্যমে তারা রপ্তানি করবে। কিন্তু তাদের এসব শর্তে আমদানি করতে রাজি না হিলির ব্যবসায়ীরা। যদি রপ্তানি করতে হয় তাহলে হিলি স্থলবন্দর দিয়েই করতে হবে। সমুদ্রপথ দিয়ে ব্যবসায়ীরা আগ্রহী নন।
‘আমরা যারা ব্যবসায়ীরা অন্য দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করছি সেই গতিকে থামিয়ে দেয়ার জন্য এটা তাদের কৌশল হতে পারে,’ দাবি করেন হারুন উর রশিদ।