সরকার মনোনীত কর্মকর্তার উপস্থিতিতে নির্ধারিত (প্রতি কেজি ২৬-২৭ টাকা) মূল্যে হিমাগার থেকে আলু বিক্রি নিশ্চিত করার জন্য জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
আগামীকাল (১ নভেম্বর, ২০২৩) থেকে আলুর নির্ধারিত দর বাস্তবায়নে সোমবার (৩০ অক্টোবর) জেলা প্রশাসকদের একটি চিঠি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
এতে বলা হয়, ‘ব্যবসায়ীরা কোল্ড স্টোরেজ এবং খুচরা পর্যায়ে সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে আলু বিক্রি করছেন। জনস্বার্থে বাজার স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে জেলা প্রশাসকগণ অত্যাবশ্যকীয় পণ্য নিয়ন্ত্রণ আইন-১৯৫৬ এর ৩(২)(ঙ) ধারা অনুযায়ী জরুরি ভিত্তিতে হিমাগার থেকে আলু বিক্রয়ের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।’
আরও পড়ুন: বাজার স্থিতিশীল করতে আলু আমদানি করবে সরকার
এক্ষেত্রে জেলা প্রশাসকরা জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে একজন উপযুক্ত কর্মকর্তাকে এক বা একাধিক হিমাগার তদারকির দায়িত্ব অর্পণ করবেন। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার উপস্থিতিতে সরকার নির্ধারিত মূল্যে আলু বিক্রি করবে।
এর আগে গত ১৪ সেপ্টেম্বর হিমাগার পর্যায়ে প্রতি কেজি আলুর দাম ২৬-২৭ টাকা এবং খুচরা পর্যায়ে ৩৫-৩৬ টাকা নির্ধারণ করে দেয় সরকার।
কিন্তু কোনো পর্যায়েই সরকার নির্ধারিত দামে আলু বিক্রি হচ্ছে না।
আরও পড়ুন: সরকার নির্ধারিত দামে এখনো বিক্রি হয় না পেঁয়াজ-আলু ও ডিম
সোমবার কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহ-সভাপতি এস এম নাজের হোসেন বলেন, পেঁয়াজ, আলু ও সবজির দাম সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়িয়ে সিন্ডিকেট মোটা মুনাফা করছে।
তিনি বলেন, সরকার পেঁয়াজ ও আলুর পর্যাপ্ত মজুদ থাকার কথা বললেও একদল অসাধু ব্যবসায়ী ভারতে দাম বৃদ্ধির অজুহাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়াচ্ছে।
আরও পড়ুন: আলু আমদানি হলে দাম কমবে, মানুষ স্বস্তি পাবে: কৃষিমন্ত্রী